তিন ব্যাংকের বন্ড অনুমোদন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের তিন প্রতিষ্ঠানকে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১৬০০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (বিএসইসি) কমিশন।
ব্যাংক তিনটি হলো- ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। এই টাকায় ব্যাংকগুলো টায়ার-টু মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে।
বিজ্ঞাপন
বিএসইসির ৮৮৩তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এই সভা অনুষ্ঠিত। সভায় প্রতিষ্ঠান তিনটির আবেদন পর্যালোচনা করে কমিশন অনুমোদন দেয়।
ব্যাংকগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের ৭০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকটি নন-কনভার্টেবল, ফুললি রিডিমেবল, কুপন বিয়ারিং, ফ্লোটিং রেট সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চসম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করবে। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা।
২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডাচ্-বাংলা ব্যাংককে বন্ড ছেড়ে ৫০০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়। বন্ডটি হবে নন-কনভার্টেবল, ফুললি রিডিমেবল ও আন-সিকিউরড ফোর্থ সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড।
বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চসম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১ কোটি টাকা।
এছাড়াও ২০০৩ সালে তালিকাভুক্ত ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডকে ৪০০ কোটি টাকা বন্ড অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্যাংকটি বন্ডটির ধরন হলো আনসিকিউরড, নন-কনভার্টেবল, ফুললি রিডিমেবল ও ফ্লোটিং রেট সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড। এই ব্যাংকটিও বন্ডের টাকায় টায়ার-টু মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে।
বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চসম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা।
এমআই/জেডএস