শেয়ারহোল্ডারদের ১১ কোটি টাকা লভ্যাংশ দেবে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট
এক বছর পর শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দেবে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান হাইডেলবার্গ সিমেন্ট লিমিটেড। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের নগদ ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি।
সেই হিসাবে ১০ টাকা মূল্যের হাইডেলবার্গ সিমেন্টের প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে দুই টাকা করে মোট ১১ কোটি ৩০ লাখ ৭ হাজার ১৮০ টাকা লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডাররা। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। তবে তার আগের বছর ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারহোল্ডারদের সাড়ে সাত টাকা করে লভ্যাংশ দিয়েছিল। অর্থাৎ ৭৫ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ১৫০ শতাংশ।
এবার করোনার কারণে মুনাফা কমেছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানি সেক্রেটারি এমদাদুল হক। তিনি বলেন, করোনার প্রভাবে হাইডেলবার্গের মুনাফা অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় কম হয়েছে। তবে আশা করছি, সামনে ভালো হবে।
বিজ্ঞাপন
২০২০ সালের জন্য পর্ষদ ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। শেয়ারহোল্ডার যাচাই-বাছাইয়ের লক্ষ্যে কোম্পানির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ মে।
বিদায়ী বছরের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৪৩ পয়সা। ২০১৯ সালে যা ছিল ৩ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে লোকসান কমেছে। ফলে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা ১০ পয়সা। এর আগের বছর ছিল ১৮৬ টাকা ৬৬ পয়সা।
১৯৮৯ সালে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে শেয়ার রয়েছে ৬০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ২৬ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে। এছাড়াও বিদেশিদের হাতে দশমিক ৫১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এমআই/এমএইচএস