>> ডিএসইতে সূচক কমেছে ৯৫ পয়েন্ট
>> সিএসইতে কমেছে ৩০০ পয়েন্ট
>> দাম কমেছে ৭১ শতাংশ শেয়ারের

সূচকের বড় পতনের মধ্য দিয়ে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দেশের দুই পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। শেয়ার বিক্রির চাপে এ দিন বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে।

এতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৯৫ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৩০০ পয়েন্ট।

বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও সূচক কমায় এ দিন উভয় বাজারে লেনদেন কম হয়েছে। ফলে চলতি সপ্তাহের টানা তিন কার্যদিবসে সূচকের পতন হলো।

ডিএসইর তথ্য মতে, মঙ্গলবার এ স্টক এক্সচেঞ্জে মোট ৩৪৭ সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৭টির, কমেছে ২৫৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৫টির প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া অর্থাৎ ৭১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৯৫ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৬৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৯ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ১৭ পয়েন্ট কমেছে।

ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১২৫ কোটি ৪৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৫৮৫ কোটি ২২ লাখ ৯ হাজার টাকা। যা চলতি বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩০০ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ৫৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এ দিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২২টির, কমেছে ১৭৯টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টির।

এ স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে মোট ৬৬ কোটি ৪৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৫২ কোটি ৪৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো, এনার্জিপ্যাক, রবি আজিয়াটা, লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্স, বেক্সিমকো ফার্মা, ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো, সামিট পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা, লাফার্জহোলসিম, আইএফআইসি ব্যাংক, জিবিবি পাওয়ার এবং এসএস স্টিল লিমিটেড।

দাম বাড়ার শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো, ড্যাফোডিল কম্পিউটার, এশিয়া প্যাসিফিক ইনস্যুরেন্স, গ্রিনডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ড, প্রাইম টেক্সটাইল, সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স, ট্রাস্ট ব্যাংক, অগ্নী সিস্টেম, এসএস স্টিল এবং অলিম্পিক ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড।

এমআই/এফআর