উচ্চশিক্ষায় সমঝোতা করলে জাতির জন্য সংকট বয়ে আনবে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে আনার কার্যকর উদ্যোগ এখন অপরিহার্য। উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিতে কোনোরূপ ছাড় দিলে বা সমঝোতা করলে জাতির জন্যই সংকট বয়ে আনবে। শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তবুও তারা চায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে সিনেট হলে ‘বার্ষিক বিশেষ সিনেট অধিবেশন-২০২২’ এ সিনেট চেয়ারম্যানের অভিভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
উপাচার্য বলেন, পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেও তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে অনাগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। সে বিবেচনায় আমাদের জন্য এটি ইতিবাচক দিক যে, আমাদের তরুণ শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণে প্রবল আগ্রহী। এ আগ্রহে অনুপ্রেরণা যোগানো প্রয়োজন। তবে তা মান বিনষ্ট করে নয়।’
ড. মশিউর রহমান বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া আমাদের আকাঙ্ক্ষা। এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃত অর্থেই দেশের একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হোক-এটি আমাদের চাওয়া। এ লক্ষ্যে আমরা নানামুখী কার্যকর উদ্যোগ ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছি। আরও বহুবিধ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগোনোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘সিইডিপি পরিচালিত ১৬টি বিষয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জিআইএস ও রিমোট সেন্সিং, মেন্টাল হেলথ, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস, গবেষণা পদ্ধতি প্রভৃতি বিষয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ আমরা শুরু করেছি। বই লেখা প্রকল্প, গবেষণা প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ, বাংলা ও ইংরেজি জার্নাল প্রকাশ, ল্যাবভিত্তিক বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ও বিজ্ঞান মেলার আয়োজনসহ সহশিক্ষা কার্যক্রমের বহুবিধের সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক নব উদ্যম ও জ্ঞান পিপাসা সৃষ্টির এক আপ্রাণ চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি’
সিনেট চেয়ারম্যান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা একজন ক্যারিশমেটিক নেতা। বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিশন- স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও তা রূপায়নের পথ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উচ্চারণ করেছেন। আমরা তার এ রূপকল্পে মানস গঠনে ভূমিকা রাখতে চাই।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক চিফ হুইপ ও জাতীয় সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ, সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, পিএসসির সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবীর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু ইউসুফ মিয়াসহ ২৩ জন সিনেট সদস্য।
এমএম/এমএ