পর্দা নামলো পাওয়ারপ্রেনিউর ৩.০-এর
অবশেষে পর্দা নামলো ঢাকা ইউনির্ভাসিটি অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভলপমেন্ট ক্লাব আয়োজিত স্টার্ট-আপ অ্যানালাইসিস কম্পিটিশন পাওয়ারপ্রেনিউর ৩.০-এর। মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত তিন পর্বের এ আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ড. আব্দুল্লাহ ফারুক মাল্টিপারপাস হলে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সম্মানিত ডিন ড. মোহাম্মদ আব্দুল মঈন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টারের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তাহসিনা আহমেদ।
শিক্ষার্থীদের অ্যানালিটিক্যাল স্কিল ডেভেলপমেন্টের সুযোগ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অংশগ্রহণ করে কলেজ থেকে স্নাতক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ১৭৪টি টিম। পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন সাবমিশনের পাশাপাশি প্রথম পর্বে প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণ করতে হয় তিনটি অনলাইন সেশনে।
বিজ্ঞাপন
দিক নির্দেশনামূলক তিনটি সেশনে বক্তা হিসেবে ছিলেন ডিইউইডিসির মডারেটর ও চিফ প্যাট্রন প্রফেসর ড. রাফিউদ্দিন আহমেদ, মাহতাব'স কেয়ারের পরিচালক মাহতাব আবদুল্লাহ মঞ্জুর এবং পেশাদার ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইনার ও ‘শিখবে সবাই' - এর মেন্টর নাইমুল হাসান। দ্বিতীয় পর্বে ২০টি টিমের প্রেজেন্টেশন যাচাই-বাছাই শেষে মোট ৮টি টিম ফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। সাম্প্রতিক কিছু স্টার্ট-আপ সম্পর্কে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন, ভিডিও প্রেজেন্টেশন এবং সবশেষে সরাসরি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাভাবনার প্রসার ঘটানোর এক দারুণ সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০২১ সাল থেকে আয়োজিত হয়ে আসছে এ অনুষ্ঠান।
ফাইনাল রাউন্ডে দিনব্যাপী আয়োজনে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিইউইডিসির মডারেটর এবং চিফ প্যাট্রন প্রফেসর ড. রাফিউদ্দিন আহমেদ। আরো উপস্থিত ছিলেন সোহেল রানা, প্রোগ্রাম লিড, জিপি এক্সেলারেটর, গ্রামীণফোন এবং নগদ লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার আরিফুল আলম।
বিজ্ঞাপন
উদ্বোধনী বক্তব্যে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অন্ট্রাপেনিউরশিপ ডেভলপমেন্ট ক্লাবের মডারেটর ও চিফ প্যাট্রন প্রফেসর ড. রাফিউদ্দিন আহমেদ—যিনি ডিইউইডিসির সূচনালগ্ন থেকে তার চমৎকার মেন্টরশিপের মাধ্যমে ক্লাব মেম্বারদের উজ্জীবিত করে যাচ্ছেন—দেশের কিশোর-তরুণদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার পৃষ্ঠপোষকতা সংক্রান্ত আশা ব্যক্ত করেন।
গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেডের মার্কেটিং ম্যানেজার পূর্বা চৌধুরী প্রতিযোগীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের অংশগ্রহণ আপনাদের অন্ট্রাপ্রেনিউরিয়াল স্পিরিটকে রিপ্রেজেন্ট করে।
তিন পর্বের প্রতিযোগিতা শেষে ফাইনালিস্ট ৮টি টিমের মধ্যে থেকে বিজয়ীর মুকুট ছিনিয়ে নেয় টিম 'শিনোবি' এবং জিতে নেয় ৫০০০ টাকা সমমূল্যের প্রাইজমানি। প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্সআপ টিম 'হানি নাটস' এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ টিম 'পার্টি প্ল্যানিং কমিটি'।
এছাড়াও পাওয়ারপ্রেনিউর ৩.০ এর সেরা ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর নির্বাচিত হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির শিক্ষার্থী মেহনাজ তামান্না।
পাওয়ারপ্রেনিউর ৩.০ এর ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিল- বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার, ড্যান কেক, ক্রাঞ্চ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, শিখবে সবাই, ঢাকা পোস্ট, দ্য এক্সিলেন্স অব ঢাকা ইউনিভার্সিটি, যন্ত্র বাজার ও গ্রামীণ ডানোন-শক্তি।
জেডএস