রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অবস্থিত ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুলে গাড়ি পার্কিং নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা। প্রতিষ্ঠানের ভেতরে কোনো গাড়ি পার্কিং করতে হলে নতুন চার্জ  নির্ধারণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। কোন গাড়ি পার্কিং করতে হলে অভিভাবককে বার্ষিক ৪ হাজার টাকা এবং মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের জন্য ১ হাজার টাকা ফি দিতে হবে।

পার্কিং জন্য এত বেশি টাকা চার্জ করায় প্রক্রিয়া দেখিয়েছেন অভিভাবকরা। তারা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গাড়ি রাখার জায়গা থাকলে সেটি ফ্রি হওয়া উচিত।

অভিভাবকরা জানান, পার্কিংয়ের শৃঙ্খলার চার্জ করা যেতে পারে কিন্তু সেটি ৪ হাজার টাকা করা রীতিমত ব্যবসার সামিল। একটি স্কুল গাড়ির পার্কিংয়ের ব্যবসা করতে পারে না।

জানা গেছে, গত ৭ মে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের সই করার এক নোটিশে জানানো হয়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের যারা স্কুলের ভেতরের পার্কিং করতে ইচ্ছুক তাদের ১৫ মে থেকে ৩০ মে মধ্যে আবেদন করে গাড়ির স্টিকার সংগ্রহ করতে হবে। সেজন্য প্রতিটি গাড়ির জন্য ৪ হাজার এবং মোটরসাইকেলের জন্য ১ হাজার চার্জ করা হয়েছে। পার্কিং এলাকা সীমিত থাকায় আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে স্টিকার বরাদ্দ দেওয়া হবে।

শামসুন্নাহার নামে এক অভিভাবক বলেন, প্রচুর অভিভাবক গাড়িতে করে তার সন্তানকে স্কুলের নিয়ে আসেন। সবার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা যেমন সম্ভব নয় তেমনটি পার্কিং চার্জ ৪ হাজার টাকার করাও উচিত হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পার্কিংয়ের মতো ব্যবসায় নামতে পারে না।

জানতে চাইলে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ বলেন, সব অভিভাবকদের গাড়ির পার্কিংয়ের ব্যবস্থা তো কলেজ করতে পারবে না। তাই একটি নির্দিষ্ট চার্জ পরিশোধ করে যারা আগ্রহী তারা পার্কিংয়ের স্টিকার সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।

চার্জ বেশি হয়েছে অভিভাবকদের এমন অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, রাস্তায় পার্কিং করলে কত টাকার মামলা খাবেন? তার চেয়ে এটা নিরাপদ। পার্কিং নিয়ে প্রতিষ্ঠান কোনো ব্যবসা করছে না।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ক্যাম্পাসে মোট ১১৮টি গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা রয়েছে। মোটরসাইকেলের জায়গা রয়েছে দেড় শতাধিক।

এনএম/এসকেডি