নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যরা
উৎসাহ উদ্দীপনায় চলছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সমিতির নির্বাচন। রোববার (৯ জুন) শিক্ষা ক্যাডারের সবচেয়ে বড় সংগঠনের নেতৃত্বে বাচাইয়ে ভোট দিচ্ছেন দেশের শিক্ষা প্রশাসন ও বিভিন্ন সরকারি কলেজে কর্মরত ১৩ হাজারের বেশি শিক্ষক-কর্মকর্তা। সারা দেশে ২১৪ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৯টায়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
শিক্ষা ক্যাডার সমিতির তথ্যমতে, সমিতির এই নির্বাচনে ৯৫ পদে মোট ২৩২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সারা দেশে ২১৪ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। মোট ভোটার ১৩ হাজার ৫৯৬ জন। সারা দেশের ১১টি সাংগঠনিক শিক্ষা বিভাগে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাসহ সরকারি কলেজ শিক্ষক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা বোর্ড, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম), শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ (টিটি কলেজ), জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবং শিক্ষাসংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কর্মরত ক্যাডার কর্মকর্তারা এ নির্বাচনে ভোট দেবেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
নির্বাচনে তিনটি প্যানেল ও দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে একটি প্যানেলের (ক) নেতৃত্বে রয়েছেন রুহুল কাদির-হুমায়রা-কামাল। আরেকটি প্যানেলের (খ) নেতৃত্বে রয়েছেন মামুন-জিয়া-নাসির। আর তৃতীয় আরেকটি প্যানেল (গ) হচ্ছে শাহেদ-তানভীর-মোস্তাফিজ। তিনটি প্যানেল অংশ নিলেও মূল লড়াই হবে শাহেদ-তানভীর প্যানেল বনাম মামুন জিয়া প্যানেলের মধ্যে।
বিজ্ঞাপন
প্রার্থীদের ইশতেহারের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, সব অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে প্রাধিকারের ভিত্তিতে গাড়ি দেওয়া, অধিদপ্তর, দপ্তর ও কলেজগুলোতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় গ্রেডের পদ সৃষ্টি, সব কলেজে অতিরিক্ত একজন উপাধ্যক্ষের পদ সৃষ্টি করা।
এছাড়া রয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই), মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, নায়েম বিএমটিটিআইর বিতর্কিত নিয়োগ বিধিমালা বাতিলের চেষ্টা অব্যাহত রাখা, সরকারি কলেজে ডরমিটরি স্থাপন, মাধ্যমিক ও কলেজের প্রশাসনিক দপ্তর স্থাপন এবং বিসিএস সাধারণ শিক্ষা একাডেমি প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ, অর্জিত ছুটি প্রদান নিশ্চিত করা এবং আনুপাতিক হারে প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রেডসহ প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টি, চাকরির পাঁচ বছর পূর্তিতে ষষ্ঠ গ্রেড দেওয়া।
তবে নির্বাচনের তিনদিন আগে ‘গ’ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী শাহেদুল খবির চৌধুরীকে শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নজিরবিহীন বদলির এ ঘটনায় পাল্টে গেছে নির্বাচনের চিত্র।
এনএম/পিএইচ