চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় সিরাজগঞ্জ ও চাঁদপুরে দুটি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের নকল করার সহায়তা অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর কয়েকজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা বোর্ড। এর মধ্যে চাঁদপুরের একটি কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অব্যাহতি এবং সিরাজগঞ্জে ১১ জনকে বহিষ্কার এবং একজনকে জেলে দেওয়া হয়েছে।

আজ সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার নিন্দপুর ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে শতভাগ পাস নিশ্চিত করতে শিক্ষক কর্তৃক এইচএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহের বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সংবাদটি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর দৃষ্টিগোচর হলে মন্ত্রী কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এরপর মন্ত্রীর শিক্ষা বোর্ড  কুমিল্লা চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার পালাখাল রুস্তম আলী কলেজ ও নিন্দপুর ড. মহিউদ্দিন খান স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অব্যাহতি প্রদান করেন এবং বোর্ড থেকে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি পাঠান।

এই বোর্ডের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন পরীক্ষা কেন্দ্রে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরীক্ষা সংক্রান্ত শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, মাত্র দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে এভাবেই উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা দিচ্ছে এই কেন্দ্রের প্রায় এক হাজার পরীক্ষার্থী! কেন্দ্র কমিটিকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে কব্জায় নিয়ে পরীক্ষার্থীদের জন্য এমন বন্দোবস্ত করেছে একটি চক্র। বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখা মিলিয়ে অন্তত ৯টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে এই কার্যক্রম চালাচ্ছে চক্রটি।

এনএম/এসকেডি