জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারে বড় বাধা কলেজগুলোতে সুশাসন, জবাবদিহিতা এবং শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতার অভাব। এছাড়া কলেজ পরিচালনা পর্ষদের দৌরাত্ম্য এক্ষেত্রে আরেকটি বড় সমস্যা।

রোববার (১০ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান- ২ এর লেকশোর হোটেলের লা ভিটা হলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। 

ভিসি বলেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। দেশের বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারে সিপিডিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এজন্য তিনি দেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণকারী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দেন।

সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হলেও দেশের উচ্চ শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতে এ বিশ্ববিদ্যালয় কতটুকু ভূমিকা রেখেছে তা নিয়ে গবেষণা হয়নি। প্রতিবছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ১০ লাখের বেশি গ্রাজুয়েট তৈরি করলেও কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য তাদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্রের জন্য উপযোগী করে গড়ে তুলতে তথ্যপ্রযুক্তিসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে। সেজন্য শিক্ষাক্রমে তথ্যপ্রযুক্তি ও ইংরেজিকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সিপিডির ডিস্টিংগুইশড ফেলো প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। 

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন— সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ডক্টর আহসান এইচ. মঞ্জুর এবং কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ।

এছাড়া প্যানেল আলোচনার অংশ নেন গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হাসান খান (বাবু), লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাসিম মঞ্জুরসহ অনেকে।

আরএইচটি/এমএন