জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
সাংবাদিকতায় মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার ফরম পূরণে সময়সীমা ঘোষণা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২০ সালের সাংবাদিকতায় মাস্টার্স (শেষ পর্ব) পরীক্ষার ফরম পূরণ ২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শিক্ষার্থীরা ২ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ফরম পূরণের আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে প্রিন্ট করা ফরম কলেজে জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেল চারটা। কলেজ কর্তৃপক্ষ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডাটা নিশ্চয়নের সুযোগ পাবে। আর সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি জমা দেওয়ার শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ সেপ্টেম্বর।
পরীক্ষার ফরম পূরণের ক্ষেত্রে প্রতি পরীক্ষার্থীর ফি ধরা হয়েছে আট হাজার টাকা। ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার জন্য প্রতি পত্রে ৯০০ টাকা দিতে হবে। এ ছাড়া কেন্দ্র ফি হিসেবে ৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে— যার মধ্যে ১০০ টাকা কলেজে জমা হবে এবং ৬০০ টাকা যাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে। ব্যবহারিক বা মৌখিক কেন্দ্র ফি ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা। মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের প্রতিটি পত্রের জন্য ফি ১ হাজার টাকা, বিশেষ অন্তর্ভুক্তির ফি ৬ হাজার টাকা, আর সাময়িক সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট ফি আলাদাভাবে ৫০০ টাকা করে জমা দিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এ পরীক্ষায় শুধুমাত্র সাংবাদিকতায় মাস্টার্স (প্রথম পর্ব) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই দ্বিতীয় তথা শেষ পর্বের এই চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রণীত রেগুলেশন ও পাঠ্যসূচি অনুযায়ী।
ফরম পূরণের নিয়মাবলি সম্পর্কে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (ems.nu.ac.bd) থেকে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। ডাটা এন্ট্রি শেষে পূরণকৃত ফরম প্রিন্ট করে কলেজে জমা দিতে হবে। আবেদন ফরমের নির্ধারিত স্থানে অধ্যক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করতে হবে। অসম্পূর্ণ আবেদন বাতিল হিসেবে গণ্য হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আর কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের তথ্য যাচাই করে অনলাইনে ডাটা নিশ্চয়নের পর বিবরণী ফরম প্রিন্ট করবে এবং অধ্যক্ষ সই করবেন। এরপর ফি ‘সোনালী সেবা’র মাধ্যমে জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য, প্রচলিত ব্যাংক ফরমে টাকা জমা দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিবরণী ফরম জমা দেওয়ার সময় অবশ্যই ইনকোর্স নম্বরের প্রিন্ট কপি হাতে হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হবে। অন্যথায় ফরম জমা নেওয়া হবে না।
আরএইচটি/এমজে