গভর্নিং বডিতে শিক্ষকদের অবমূল্যায়নের অভিযোগে ইউটিএলের বিবৃতি
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মনোনয়নের যোগ্যতার ক্ষেত্রে ৯ম গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তাদের রেখে ৮ম ও ৯ম গ্রেডের প্রভাষকদের বাদ দেওয়ার অভিযোগে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে দেশের সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইউটিএলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মনোনয়নের যোগ্যতার ক্ষেত্রে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু একই প্রজ্ঞাপনে শিক্ষকদের ক্ষেত্রে যোগ্যতা নির্ধারণে বলা হয়েছে– ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি কলেজে কর্মরত কোনো সহযোগী অধ্যাপক বা অধ্যাপক’।
তারা বলেন, এখানে ৬ষ্ঠ গ্রেডের সহকারী অধ্যাপক এবং ৮ম/৯ম গ্রেডের প্রভাষকদের বাদ রাখা হয়েছে। অথচ কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে ৯ম গ্রেড পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তে বিপুলসংখ্যক শিক্ষ– প্রভাষক (৯ম গ্রেড) ও সহকারী অধ্যাপকদের (৬ষ্ঠ গ্রেড) যোগ্যতার বাইরে রাখা হয়েছে, যা সরাসরি বৈষম্যমূলক। একদিকে ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত হবেন, অন্যদিকে সমমানের বা উচ্চতর গ্রেডের শিক্ষকদের বাদ দেওয়া শিক্ষা পেশার মর্যাদাকে অবমূল্যায়ন করে।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে আরও বলেন, প্রজ্ঞাপনের এই ধারা শিক্ষকদের জন্য অমর্যাদাকর এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের মর্যাদাকে খাটো করেছে। যখন ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তারা সভাপতি মনোনয়নের যোগ্য, তখন সমমানের প্রভাষক, ষষ্ঠ গ্রেডের সহকারী অধ্যাপক, এমনকি অধিক অভিজ্ঞ শিক্ষকদের বাদ দেওয়া একেবারেই অযৌক্তিক ও অসংগত।
সরকারের প্রতি ২ দাবি জানিয়ে ইউটিএল নেতারা বলেন, ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল) জ্ঞান, আত্মমর্যাদা, বিশ্বাস ও স্বাধীনতা; এই চার মূলনীতিকে ধারণ করে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। শিক্ষকদের মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় ইউটিএল সবসময় সক্রিয় এবং অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। শিক্ষকদের পেশাগত সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত প্রজ্ঞাপন সংশোধন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে–
১. প্রজ্ঞাপনের বৈষম্যমূলক ধারা অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।
২. ৯ম গ্রেড সমমানের পদে কর্মরত সব শিক্ষককে সভাপতি মনোনয়নের যোগ্যতা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
এমএল/বিআরইউ