বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির দাবি, না হলে এনটিআরসিএ ঘেরাওয়ের ঘোষণা
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ১৬ হাজার ২১৩ জন প্রার্থী। অথচ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো হাজার হাজার পদ শূন্য রয়েছে। তাই শূন্য পদে তাদের নিয়োগ দিতে ‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন এসব প্রার্থী। দ্রুত এ দাবি মেনে না নিলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ে শাটডাউন কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর–রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চাকরিপ্রার্থীরা এমন হুঁশিয়ারি দেন।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সদ্য সুপারিশপ্রাপ্ত অনেক প্রার্থী বিভিন্ন কারণে যোগদান করেননি বা করবেন না। এতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান তীব্র শিক্ষক সংকট আরও বাড়বে। তাই ওই অযোগদানকৃত পদগুলো যুক্ত করে দ্রুত বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব ও জরুরি বলে দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
প্রার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, এনটিআরসিএ এর আগে ছয় দফায় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু একই পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কেউ কেউ কলেজ পর্যায়ে ৪৫ নম্বর পেয়ে প্রভাষক হিসেবে সুপারিশ পেলেও এবার ৫০ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের ‘অযোগ্য’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এটি চরম বৈষম্যমূলক ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ করেন তারা।
তারা বলেন, এনটিআরসিএ ইচ্ছাকৃতভাবে কিছুসংখ্যক প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়ে বাকিদের বঞ্চিত রাখছে। এরপর আবার নতুন নিবন্ধন পরীক্ষা শুরু করে কোটি কোটি টাকার অর্থনৈতিক লোভে হাজারো যোগ্য প্রার্থীর জীবন নিয়ে খেলা করছে।
এসময় এসব চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে দুই দফা দাবি জানানো হয়। দাবি ২টি হচ্ছে—
১. চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের তথ্য হালনাগাদ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৬ হাজার ২১৩ জন সুপারিশ বঞ্চিত প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে।
২. নীতিমালা পরিবর্তনের আগে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ও সুপারিশ বঞ্চিত প্রার্থীদের বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় শূন্যপদ যুক্ত করে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সবাইকে নিয়োগ দিতে হবে।
আরএইচটি/এআইএস