কালো পতাকা মিছিল করলেন অনশনরত শিক্ষকরা
দাবি আদায়ে টানা সাত দিন ধরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থানরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা কালো পতাকা মিছিল করেছেন।
আজ (শনিবার) দুপুর ১২টায় বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে শহীদ মিনার থেকে মিছিল বের করেন তারা। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা শহীদ মিনার ছাড়বেন না।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই কালো পতাকা হাতে শিক্ষক-কর্মচারীরা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান করছেন। কেউ কেউ মাথায় কালো ব্যাজ বেঁধে স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় তাদের ‘ভাতা নয়, ভিক্ষা নয়, ন্যায্য অধিকার চাই’, ‘বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করো, ২০ শতাংশের প্রজ্ঞাপন জারি করো’সহ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে কর্মসূচিতে আসা শিক্ষক মো. নাজমুল হক বলেন, আমরা সাত দিন ধরে রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শহীদ মিনারে বসে আছি। সরকারের পক্ষ থেকে শুধু আশ্বাস নয়, এখন বাস্তব প্রজ্ঞাপন চাই। বাড়ি ভাড়া আর চিকিৎসা ভাতা না বাড়লে শিক্ষক সমাজ বাঁচবে না। পরিবার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
রফিকুল ইসলাম নামের আরেক শিক্ষক বলেন, আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে চাই, কিন্তু সরকারের অবহেলা আমাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে। এই কালো পতাকা আমাদের ক্ষোভের প্রতীক।
শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, সরকারের পক্ষ থেকে বাড়ি ভাতা ২০ শতাংশ, চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০ টাকা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে। আজ আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি শিক্ষা উপদেষ্টার অবিবেচক মন্তব্যের বিরুদ্ধে। কালো পতাকা হাতে সকল শিক্ষকরা রাস্তায় নেমে এসেছেন আমরা বাড়ি ফিরবো না। আমরা আবার শহীদ মিনারে ফিরে যাব।
এর আগে, গত রোববার প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে সারাদেশে পাঠদান বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন
তবে এরইমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর কথা জানানো হলেও শিক্ষকরা এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন।
শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি আরও জোরদার করা হবে।
আরএইচটি/এনএফ