বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ও উৎসব ভাতা বাড়ানোর দাবিতে দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা রোববার শহীদ মিনার থেকে শিক্ষা ভবন অভিমুখে ‘ভূখা মিছিল’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা খালি থালা ও প্লেট হাতে নিয়ে মিছিল করবেন।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এমন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। 

অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন বলেন, আমরা এই দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলছি, জাতির মেরুদণ্ড শক্ত করছি। কিন্তু আজও আমরা নিজেদের জীবনে নিরাপত্তা ও স্বীকৃতির নিশ্চয়তা পাই না। বছরের পর বছর ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নানা প্রতিশ্রুতি শুনেছেন, কিন্তু বাস্তবে কোনো ফল মেলেনি। শিক্ষক হিসেবে আমাদের জীবনে এমন এক অবস্থা এসেছে, যেখানে ‘খালি থালা হাতে’ রাস্তায় নামা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এটা শুধু প্রতীকী প্রতিবাদ নয়, এটা আমাদের অন্তরের কান্না-বঞ্চনা ও অসম্মানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা। 

তিনি বলেন, এসব শুধু শিক্ষকদের দাবি নয়, এটি দেশের শিক্ষার মান রক্ষা ও সমতা প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত। সরকার চাইলে আজই এই সংকটের অবসান ঘটাতে পারে। আমরা সরকারের প্রতি বিনীত আবেদন জানাই, আমাদের আর অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখবেন না। শিক্ষক সমাজ মর্যাদা চায়, করুণা নয়। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দাবিতে আন্দোলন চললেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। তাই ক্ষোভ ও প্রতীকী প্রতিবাদ জানাতেই এই ভূখা মিছিলের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

আজিজী আরও বলেন, আমরা শিক্ষক, কিন্তু ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত। খালি থালা নিয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছি। আশা করি, সরকার দ্রুত আমাদের দাবি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেবে।

এর আগে, এর আগে গত রোববার (১২ অক্টোবর) প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে সারাদেশে পাঠদান বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।

তবে এরইমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর কথা জানানো হলেও শিক্ষকরা এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন। 

শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি আরও জোরদার করা হবে।

আরএইচটি/এমএসএ