৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা
আসন বিন্যাস দৈবচয়ন পদ্ধতিতে, সময় লাগবে সিট খুঁজে পেতে
৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর জোড়–বিজোড় ভিত্তিতে সাজিয়ে কক্ষভিত্তিক দৈবচয়ন (র্যান্ডম) পদ্ধতিতে আসন বিন্যাস করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। দৈবচয়ন প্রক্রিয়ার কারণে নিজের সিট ও কক্ষ চিহ্নিত করতে পরীক্ষার্থীদের সাধারণের চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে কমিশন। এ কারণে পরীক্ষা শুরুর আগে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই হলে প্রবেশের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) কমিশনের ওয়েবসাইটে এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সিট সহজে খুঁজে পাওয়ার সুবিধার্থে পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে হলে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) মাসুমা আফরীনের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষার হলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর জোড় ও বিজোড় হিসেবে সাজিয়ে এবং প্রতিটি নম্বর কক্ষওয়ারি দৈবচয়ন (র্যান্ডম) পদ্ধতিতে বিন্যস্ত করে হাজিরা তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এই দৈবচয়ন প্রক্রিয়ার কারণে নিজের আসন এবং কক্ষ চিহ্নিত করতে পরীক্ষার্থীদের কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে। এ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কমপক্ষে ১৫ মিনিট আগে হলে প্রবেশ করা বাধ্যতামূলক।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের পর কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বিষয়টি এরইমধ্যে প্রবেশপত্র ও পরীক্ষা পরিচালনা–সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনায় উল্লেখ আছে। সুষ্ঠুভাবে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পিএসসির সব নির্দেশনা পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার যথাযথভাবে অনুসরণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, কমিশনের প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) শুরু হয়ে চলবে ১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত।
দেশের ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ—এই আটটি কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে পদ–সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় পরীক্ষা শুধুমাত্র ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে পিএসসি।
আরএইচটি/জেডএস