গণশিক্ষা উপদেষ্টা
সাউন্ড গ্রেনেডে নয়, অসুস্থতাতেই সেই শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তার নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। অসুস্থতাজনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ আছে। সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হয়ে মৃত্যুর যে খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, তা সঠিক নয়।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষিকার মৃত্যুর ঘটনায় আমরা গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে এবং পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানাতে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ১৬ নভেম্বর রাজধানীর মিরপুরের অলক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফাদেতা মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১০ম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে শাহবাগে অনুষ্ঠিত কলম বিসর্জন কর্মসূচীতে অংশ নেওয়ার সময় পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডের তীব্র শব্দে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এর প্রতিবাদে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ ও অন্যান্য শিক্ষক সংগঠন পরদিন ১৭ নভেম্বর কালো ব্যাজ ধারণ এবং এক মিনিট নীরবতা কর্মসূচী পালন করেছেন।
জানা যায়, ফাতেমা আক্তার চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলবের ৫ নম্বর ঝিনাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তার বাবা সুরুজ মোল্লা এবং স্বামী ডি. এম. সোলেমান। তিনি মতলব উত্তরের ঠাকুরচরের বাসিন্দা এবং রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছিলেন।
আরএইচটি/বিআরইউ