২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ইবতেদায়ি, দাখিল, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক গ্রহণ ও অনলাইনে চালান অনুমোদন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো মানসম্মত বই পৌঁছে দিতে এসব নির্দেশনা অনুসরণ করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-১) এস. এম. জিয়াউল হায়দার হেনরীর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ইবতেদায়ি, মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল এবং কারিগরি (ট্রেড) স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ শুরু করেছে। এ নিয়ে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক গ্রহণ ও বিতরণ কার্যক্রম আরও সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য নির্দেশনাগুলো মানার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হচ্ছে–

১. জেলা, উপজেলা বা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এনসিটিবির নির্ধারিত টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান থেকে বই বুঝে নিতে হবে।

২. বই গ্রহণের পর https://nctb.ihealthscreen.org ঠিকানায় ‘পাঠ্যপুস্তক গ্রহণ বা বিতরণ সিস্টেম’-এ প্রবেশ করে মেনুর ‘Chalan Management’ অপশনে গিয়ে বিদ্যমান ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে চালানের অনুমোদন দিতে হবে।

৩. পাঠ্যপুস্তক গ্রহণের পর দ্রুততম সময়ে অনলাইনে চালান অনুমোদন সম্পন্ন করতে হবে।

৪. সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেও বই সরবরাহ ও গ্রহণের কার্যক্রম চলমান থাকবে।

৫. সব জেলা, উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নিজ নিজ ইউজার অ্যাকাউন্টে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নাম, মোবাইল নম্বর ও স্বাক্ষর হালনাগাদ করে আপলোড করতে হবে।

আরএইচটি/এসএসএইচ