চূড়ান্ত ফল প্রকাশের সাত মাস পর ৩৮তম বিসিএস থেকে বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ১২৯ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ করা তালিকা থেকে ৭৫ জন বাদ পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। এটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.mopa.gov.bd) প্রকাশ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ অনুসারে ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা বেতনক্রমে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের থেকে নিয়োগ দিয়ে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। 

৩৮তম বিসিএসের জন্য সরকার ২০১৭ সালের ৫ মার্চ পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে (পিএসসি) চাহিদা পাঠায়। একই বছরের ২০ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। শুরুতে ২ হাজার ২৪টি পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হলেও পরে আরও ১৮০ পদ বাড়ানো হয়। আর এই পদ বাড়াতে গিয়েই সময় বেশি লাগার প্রক্রিয়া শুরু হয়। 

পরে ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হয়। এতে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮ জন আবেদন করেন, যা ছিল ওই সময় পর্যন্ত রেকর্ড সংখ্যক আবেদন। ১ মাস ২১ দিন পর প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ১৬ হাজার ২৮৬ জন। 

৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ২০১৯ সালের ১৩ আগস্ট। পরীক্ষা হওয়ার প্রায় দুই মাসের মধ্যে এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়। লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৪ হাজার ৫৪৬ জন। পাস করেন ৯ হাজার ৮৬২ জন। লিখিত পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।

গত বছরের ৩০ জুন ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এরপর সাত মাসের মাথায় এসে আজ বিভিন্ন ক্যাডারে চূড়ান্ত নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে ৩৮তম বিসিএসের সব অপেক্ষা পরিসমাপ্তি হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পদায়িত কার্যালয়ে যোগদান করতে হবে। নির্ধারিত তারিখে যোগদান না করলে চাকরিতে যোগদান করতে সম্মত নন বলে ধরে নেওয়া হবে ও নিয়োগপত্র বাতিল বল গণ্য হবে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

এনএম/এসএইচআর/ওএফ