টিকা নিচ্ছেন নবনীতা চৌধুরী, ছবি : ফেসবুক থেকে

মহামারি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে দেশজুড়ে চলছে টিকা গ্রহণ কার্যক্রম। মন্ত্রী, এমপি, ডাক্তার, নার্স, খেলোয়াড়, সংস্কৃতিকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ টিকা নিচ্ছেন। আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) টিকা নিয়েছেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, সংবাদ পাঠিকা ও উপস্থাপিকা নবনীতা চৌধুরী। নিজের সেই অভিজ্ঞতা ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তিনি।

নবনীতা লেখেন, ‘আমি আর আমার মা করোনা টিকা নিলাম আজ সকালে। এত সুন্দর অভিজ্ঞতা হলো যে কৃতজ্ঞতা আর আবেগে মনটা ভরে গেছে। কিডনি গবেষণা ইনস্টিটিউট আমাদের কেন্দ্র- সরকারি হাসপাতাল ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত ঝকঝক তকতক করছে। কোথাও কোন চেঁচামেচি ঝগড়াঝাটি নাই। নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্র কোনদিকে তা স্পষ্ট করে তীরচিহ্ন দিয়ে নির্দেশিত আছে।’

টিকা কেন্দ্রে মায়ের সঙ্গে নবনীতা চৌধুরী, ছবি : ফেসবুক থেকে 

তিনি লেখেন, ‘পরশুদিন রাতে আমার জন্য নিবন্ধন করেছিলাম। গতকালকেই এসএমএস পেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু মায়ের নিবন্ধন ২৬ জানুয়ারি করার পরেও এসএমএস আসেনি। আজ দুজনেই কেন্দ্রে চলে এলাম। ভ্যাকসিন কার্ড জমা দিয়ে আলো বাতাসে ভেসে যাওয়া ঝকঝকে ওয়েটিং রুমে কিছুক্ষণ বসতে না বসতেই ডাক এল, ভ্যাকসিন দিলাম, তারপর আবার ঝকঝকে ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করলাম আধাঘন্টা।’

ডাক্তারদের আন্তরিকতার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি, ‘এর মধ্যে মুগ্ধ হলাম তরুণ ডাক্তার সাইফুদ্দিন শুভ্রর ব্যবহার, উৎসাহ আর সহযোগিতায়। তাঁর মাধ্যমে পরিচয় হল আরও কয়েকজন ডাক্তার এবং নার্সের সঙ্গে। হাসপাতালের মতই এই মানুষগুলোও ঝকঝক করছেন। সবাই জানালেন, এনআইডি নিয়ে এলে তারা নিজেরাই রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দিয়ে দেবেন।’

নবনীতা চৌধুরী, ছবি : সংগৃহীত 

টিকা নেওয়ার অভিজ্ঞতায় অভিভূত বলেও জানান এই রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, ‘আমরা সপরিবারে অভিভূত পুরো ভ্যাকসিন অভিজ্ঞতায়। প্রথমত https://surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটটি এত ব্যবহারবান্ধব হয়েছে সত্যি সত্যিই কয়েক মিনিটে নিবন্ধন শেষ। সাইট ২৬ তারিখে লাইভ হতে না হতেই ভাই জাপান থেকে মায়ের নিবন্ধন, ভাইয়ের বউ তার বাবা মায়ের নিবন্ধন আর বোন জামাই তার মায়ের নিবন্ধন করে ফেলল। ভ্যাকসিন কার্ড প্রিন্ট নেওয়া গেল সাইট থেকে। এমনকি নিবন্ধনের স্ট্যাটাস পর্যন্ত নিয়মিত দেখা সম্ভব সাইটে।’

নবনীতা চৌধুরী আরও লেখেন, ‘এই নিয়মনিষ্ঠ, প্রযুক্তিনির্ভর, সকলের জন্য সমান সুযোগ ব্যবস্থাকারী, ঝকঝকে তকতকে, সুব্যবস্থাপনার বাংলাদেশের চেহারাটা চোখে লেগে থাকবে, মনে গেঁথে থাকবে অনেকদিন। দেশটা বদলে যাচ্ছে। সমানতালে আমাদের বদলাতে হবে এখন।’

আরআইজে