বর্ণমালা রক্ষার দায়িত্ব নিলেন ওহাব মাস্টার
‘আমার বর্ণমালা’ নাটকের দৃশ্যে তারিক আনাম খান
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ওহাব মাস্টার। ১৯৭১ সালে রাতের আঁধারে তাদের বাড়িতে আগুন দেয় রাজাকাররা। সেই সময় ছোট্ট ওহাবের হাতে বর্ণমালার বই তুলে দিয়ে কান্না করে বাবা বলেছিলেন ‘বাবা তুই আমার বর্ণমালাকে বাঁচা’।
বর্ণমালার বই হাতে ওহাব দৌড়ে বের হতে পারে। কিন্তু বাবা-মা চোখের সামনে আগুনে পুড়ে মারা যায়। তারপর থেকে বাবার দেয়া আমার বর্ণমালাকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছানোর গুরুদায়িত্ব নেন ওহাব।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু সমস্যা হলো অন্য জায়গায়। ওহাব যে স্কুলের শিক্ষক সেটির হেড মাস্টার ও শিক্ষা অফিসারের যোগসাজশে বাংলা মিডিয়াম ভেঙে ইংলিশ মিডিয়াম করার পাঁয়তারা করছেন। তাদের পরিকল্পনায় পথের কাঁটা হয়ে ওঠেন বাংলার শিক্ষক ওহাব মাস্টার।
এক রাতের আঁধারে হেডমাস্টার ভাড়াটিয়া খুনি দিয়ে ওহাব মাস্টারকে খুন করান। ২১ ফেব্রুয়ারি সকালবেলা বর্ণ আপার নেতৃত্বে শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা প্রভাত ফেরিতে ফুল হাতে এগিয়ে যাচ্ছিল। শহীদ মিনারের সামনে আসার পর দেখে লোকজনের জটলা। তা ঠেলে এগিয়ে এসে দেখে তাদের ওহাব মাস্টারের লাশ পড়ে আছে।
বিজ্ঞাপন
এমন গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ভাষা দিবসের বিশেষ নাটক ‘আমার বর্ণমালা’। সীমান্ত সজলের রচনা ও পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, মৌসুমী হামিদ, কায়েস চৌধুরীসহ আরও অনেকে। ২১ ফেব্রুয়ারি (রোববার) রাত ৮ টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটকটি।
এমআরএম