মেহজাবীনকে দেখে চমকে উঠল নিশো!
সময়টা ভালো না। পাকিস্তানের শোষণে অতিষ্ঠ হয়ে বাঙালি শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। চারদিকে যুদ্ধের খবর। তরুণ ছেলেরা সব মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব মুনিরের বিয়েটা সেরে ফেলতে চান তার বাবা।
মুনির (নিশো) বাবার একমাত্র সন্তান। তাই বাবা চান ছেলেকে আটকাতে। উঠতি বয়সী ছেলে, বিয়ে দিলে বউয়ের আঁচলে বাঁধা পড়ে যাবে। এই ভাবনা থেকেই পাশের গ্রামের এক গেরস্থের মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ের দিন তারিখ চূড়ান্ত করা হয়। মেয়ে শিক্ষিত, কলেজে পড়ে, নাম সালেহা (মেহজাবীন)। দুই দিন পরই তাদের বিয়ে।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু এই সময়টাতে বিয়ে মেনে নিতে পারছে না মুনির। আবার বাবাকে মুখের ওপর না করার সাহসও নেই তার। বিয়ের আগের রাতে মুনির মনস্থির করল, সে যুদ্ধে যাবে। বাবা-মার অনুমতি পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সুতরাং একটা চিঠি লিখে রাতের আঁধারেই পালাবে সে।
অন্যদিকে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেওয়া ছেলেদের নৌকায় করে বর্ডার পার করে দেয় নরেন মাঝি। অবশেষে নদীর ঘাটে পৌঁছায় মুনির। নৌকায় উঠে সে টের পায় তাতে আরেকটি মানুষ আগে থেকে উঠে বসে আছে। আপাদমস্তক ঢাকা।
বিজ্ঞাপন
নৌকায় তারা দুজন ছাড়া আর কেউ নেই। একটা সময় মুখ ঢেকে বসে থাকা মানুষটি ঘুরে বসে। তাকে দেখে চমকে উঠে মুনির। সে আর কেউ নয় সালেহা!
এমনই মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি নিয়ে নির্মিত হয়েছে স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ নাটক ‘অসমাপ্ত’। সারওয়ার রেজা জিমির রচনায় এটি নির্মাণ করেছেন তুহিন হোসেন। নাটকের প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো ও মেহজাবীন চৌধুরী।
বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন মাহবুবুর রহমান, শাহরিয়ার ফেরদৌস, ফরহাদ লিমন প্রমুখ। নাটকটি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ (শুক্রবার) রাত ৮টায় আরটিভিতে প্রচারিত হবে।
এমআরএম