দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত অভিনেতা লি সান কিউনের মৃত্যু বেশ রহস্যজনক। দক্ষিণ কোরিয়ার সোলে অভিনেতার নিজের গাড়ির মধ্য়েই মিলেছে তার মরদেহ। তবে এটি আত্মহত্যা কি না তা এখনো জানা যায়নি। বর্তমানে বিষয়টি তদন্তনাধীন। শুধুমাত্র দক্ষিণ কোরিয়াতেই নয়, বিশ্বব্যাপী অভিনয়ের জন্য ছিলেন জনপ্রিয়। হঠাৎ করেই এমন রহস্যজনক মৃত্যুতে বিস্মিত তার ভক্তরা।

একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন লি সান কিউন। তবে প্যারাসাইট সিনেমায় লি সান কিউনের চরিত্র আন্তর্জাতিক স্তরে তার জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। সম্প্রতি মাদককাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তার। বেশ কিছুদিন ধরে সেই নিয়েই বেশ বিরক্ত ছিলেন তিনি। এই ঘটনার পরেই তার হাত থেকে ভালো ভালো সিনেমা হাতছাড়া হতে শুরু করে। টেলিভিশন থেকেও ব্রাত্য করা হয় তাকে। এসবের পরই অবসাদে ভুগতে শুরু করেন তিনি। ভক্তরা মনে করছেন, এই কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।

মৃত্যুর আগে এক সাক্ষাৎকারে লি সান কিউন বলেছিলেন, এত মানুষকে নিরাশ করার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি আমি। আমার পরিবারের কথা ভেবে কষ্ট হচ্ছে, আমার জন্য যাদের এত যন্ত্রণা পেতে হচ্ছে। আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইছি।

২০০৯ সালে অভিনেত্রী জিওন হাই জিনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন লি সান কিউন। তাদের দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। কোরিয়ার এক সংবাদমাধ্যমের থেকে জানা যায়, জিওন অর্থার অভিনেতার স্ত্রী। এভিনেতার মৃত্যুর আগেই পুলিশকে ফোন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। কারণ লি সান কিউন নাকি একটি রহস্যজনক চিঠি লিখে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন। আর পুলিশের সঙ্গে কথা বার্তার কিছুক্ষণ পরেই লি সান কিউনের মরদেহ উদ্ধার হয়।

লি সান কিউন অভিনীত একাধিক জনপ্রিয় সিনেমার মধ্যে আছে ‘পাস্তা’, ‘মাই মিস্টার’, ‘স্লিপ’, ‘এ হার্ড ডে’ ও ‘কিলিং রোম্যান্স’।

এর আগে, বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে সিউলের একটি পার্কে গাড়ির ভেতর থেকে ৪৮ বছর বয়সী লি সান কিউনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

কেএ