সহকারী পরিচালক থেকে যেভাবে অভিনেতা শিমুল
সদ্য শেষ হওয়া সময়ের জনপ্রিয় নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন ৩-এ অভিনয় করে দর্শকদের কাছে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছেন শিমুল শর্মা। এর আগে তিনি ছিলেন নাটকটির নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির সহকারী পরিচালক। অমির আগ্রহে অভিনয়ে এসেই দেখিয়েছেন চমক।
ঢাকা পোস্টকে শিমুল জানান, পরিচালক হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই ২০১৭ সালে কাজল আরেফিন অমির সহাকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। অমির সহকারী হিসেবে শিমুলের প্রথম কাজ ‘নেটওয়ার্ক বিজি’। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত অমি যতগুলো নাটক পরিচালনা করেছেন তার প্রায় ৯০ ভাগেরই সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন শিমুল। এই তালিকায় রয়েছে ‘ট্যাটু’, ‘ডিয়ার বাংলাদেশ’, ‘এক্স বয়ফ্রেন্ড’, ‘এক্স গার্লফ্রেন্ড’সহ অসংখ্য নাটক।
বিজ্ঞাপন
সহকারী পরিচালক থেকে অভিনেতা হওয়ার গল্পও শোনান ফেনীতে জন্ম নেওয়া শিমুল। বলেন, ‘অমি ভাইয়ের সহকারী হিসেবে কাজ করতে গিয়েই অনেক সময় পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার শর্ট’সহ ছোটখাট বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে হতো। সেটা ছিল নিতান্তই কাজের প্রয়োজনে, অভিনেতা হিসেবে নয়। সেখান থেকে এভাবে অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়ে যাব তা নিজেও ভাবিনি।’
বিজ্ঞাপন
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিরিজের নাটকের জন্যই দর্শকের মুখে মুখে এখন শিমুলের নাম। এই নাটকের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার গল্পও শোনালেন তিনি, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকের প্রথম সিজনের প্রথম পর্বেই কাবিলার ছোট ভাই হিসেবে একটি চরিত্রের প্রয়োজন ছিল। আমার বাড়ি যেহতু ওই অঞ্চলে (ফেনী) অমি ভাই তাই আমাকেই বললেই কাজটি করতে। কাবিলা ভাইয়ের ছোট ভাই হিসেবে সেদিন আমি খুব ছোট একটা দৃশ্যে অভিনয় করেছিলাম। সেখান থেকে নটাকটির সিজন ২, ৩ হয়ে আজকের এই অবস্থান। মানুষ আমাকে যতটুকু চিনেছে, অভিনেতা হিসেবে আমার যত অর্জন তার পুরো কৃতিত্ব কাজল আরেফিন অমি ভাইয়ের। এছাড়া এই নাটকের টিমের সবাই আমাকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন।’
অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি পেলেও শুধু অভিনয় নিয়েই পড়ে থাকতে চান না শিমুল। তার চোখে-মুখে এখনও নির্মাতা হওয়ারই স্বপ্ন। সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছেন বলে জানালেন।
শিমুল বলেন, ‘অমি ভাইয়ের ছয় নম্বর সহকারী পরিচালক হিসেবে আমি কাজ শুরু করেছিলাম। এখন আমি তার এক নম্বর সহকারী। পরিচালক হিসেবে তিনিই আমার গুরু, আমার শিক্ষক। তিনি যেদিন অনুমতি দেবেন, মনে করবেন সেদিন থেকেই আমি পরিচালক হিসেবে কাজ করব। এর আগ পর্যন্ত তার কাছ থেকে যতটা পারি কাজটা শিখে যাব।’ কাজল আরেফিন অমি বা তার টিমের সঙ্গেই কাজ করে যাওয়ার ইচ্ছা তার। এর বাইরে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না বলেও জানালেন শিমুল।
শিমুল এখন যেখানেই যাচ্ছেন মানুষ তাকে ডাক দিচ্ছেন, জড়িয়ে ধরছেন। আরও নানাভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করছেন। মানুষের এই ভালোবাসাটাকে ধরে রেখেই পরিচালনায় এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন শিমুলের। অমির সবুজ সংকেত পেলেই এই মাধ্যমে অভিষেক ঘটবে তার। ক্যামেরার সামনে জনপ্রিয়তা পাওয়া শিমুল এখন দিন গুনছেন ক্যামেরার পেছনে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের।
আরআইজে