সুন্দরবন অঞ্চলের বাসিন্দাদের জীবন নিয়ে নির্মিত ‘দোআঁশ’ সিনেমা। এতে দেখা যাবে অনুভব কাঞ্জিলালকে। মধু সংগ্রাহকের প্রশিক্ষণ নিয়ে জঙ্গলে পা রাখে ‘দিবাকর’ ওরফে অনুভব। দ্বিতীয় দিনে আর ফেরে না সে। কী করবে নায়িকা? এই নিয়েই গল্প। সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ৫ জুলাই। তবে তার আগে অন্য কারণে শিরোনামে অভিনেতা। ছোট পর্দা, বড় পর্দা, সিরিজে অভিনয়ের পর তিনি নাকি পরিচালনায় আসতে চলেছেন। 

তবে অভিনেতা জানিয়েছেন, বরাবর পরিচালনার ইচ্ছা ছিল তার। গত দেড় বছর ধরে তার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এবার ক্যামেরার পেছনে চোখ রাখতে চলেছেন।

অনুভবের বাবা অঞ্জন কাঞ্জিলাল পরিচালনার দুনিয়ায় চেনামুখ। ‘বাপ কা বেটা’ হতেই কি পরিচালনায় আসতে চলেছেন তিনি? অনুভবের দাবি, বাবা পরিচালক তাই ছেলেকেও পরিচালক হতে হবে এমনটা তিনি ভাবেন না। যে দিন বিনোদন দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন সেদিন থেকেই পরিচালনার স্বপ্ন দেখেছেন। একটু একটু করে নিজেকে গুছিয়েছেন। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পথে। তার আরও স্বপ্ন, এই প্রজন্মের বিনোদন দুনিয়াকে কৌতুকের মোড়কে পরিবেশন করবেন। বাবা অঞ্জন কাঞ্জিলাল অতীতের মঞ্চজগৎকে তার চর্চিত ছবি ‘সাজঘর’-এ দেখাতে চলেছেন। 

অনুভবের বিষয় ভাবনাতেও যে বাবার ছায়া! মাঝখানে কেবল যুগের ব্যবধান। অনুভবের পাল্টা যুক্তি, ‘বিনোদন দুনিয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে এখনও অনেক কৌতূহল। অভিনেতারা নাকি হাসতে হাসতে আটটা প্রেম, চারটে বিয়ে করতে পারেন! সত্যি কি এতটাই রঙিন আমাদের জীবন?’ এখনও কেউ ছবিতে অভিনয় করলে শুনতে হয়, ‘সিনেমায় নেমেছে’! আদতে এই পেশা উত্তরণের? নাকি সত্যিই টেনে নামিয়ে ফেলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন? সেটাই খুঁজতে চলেছেন অনুভব।

এই প্রজন্মের গল্প মানেই কি সিনেমাতে নতুন প্রজন্মের অভিনেতা? এবিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকের কথা মাথায় আসছে। লোকনাথ দে, সত্যম ভট্টাচার্য, ঋদ্ধি সেন, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলের সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে কথা হয়েছে। দেখা যাক কী হয়।’

অনুভব কাঞ্জিলাল বলেন, ‘বছরে একটি করে সিনেমা করব। বাকি সময় অভিনয়ের জন্য তুলে রাখলাম। সিনেমা, ছোট পর্দা, সিরিজ— যেকোনো মাধ্যমে কাজ করতে পারি। বাকিটা সময় বলবে।’

এমএ