‘বিয়ের পরদিন অসুস্থ হওয়ায় ধেয়ে এসেছিল কটাক্ষ, দিলীপের যেন না হয়’
শুক্রবার সন্ধ্যায় জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অনাড়ম্বর ঘরোয়া অনুষ্ঠানে রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে বিয়ে সারলেন তিনি।
দিলীপ ঘোষের বিয়ে নিয়ে সরগরম বাংলা, রাজনৈতিক মহল থেকে আমজনতার চায়ের ঠেক— আলোচনা সর্বত্র। বিরোধী দলের পক্ষ থেকেও এসেছে শুভেচ্ছাবার্তা।
বিজ্ঞাপন
এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার হয়েছেন দিলীপ ও রিঙ্কু। ‘বেশি বয়সে বিয়ে’ নিয়ে শুরু হয়েছে কটাক্ষ। এসব দেখে নিজের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে অভিনেত্রী দোলন রায়ের।
বয়স কেবল সংখ্যা মাত্র, প্রমাণ করেছেন দিলীপ। কিন্তু সমাজের ঠিক করে দেওয়া ‘সঠিক’ বয়স পার করে বিয়ে করলেই ধেয়ে আসে কটাক্ষ। তাই দোলন নিজের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, “দয়া করে কুৎসিত মন্তব্য করে নতুন দম্পতির মুহূর্ত বিষিয়ে দেবেন না, যেমনটা আমাকে করেছিলেন। দয়া করে আর সেটা করবেন না।”
বিজ্ঞাপন
দীর্ঘ ২২ বছর একত্রবাস করার পরে ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি বিয়ে করেছিলেন দোলন রায় ও দীপঙ্কর দে। বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাদের নিয়ে সমাজমাধ্যমে শুরু হয়েছিল সমালোচনা। কারণ দীপঙ্কর দে’র বয়স তখন ৭৫ বছর।
বিয়ের পরের দিনই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেতা। তাতে কটাক্ষের গতি দ্বিগুণ হয়। সেই স্মৃতি মনে করলে আজও অস্বস্তি হয় দোলনের।
আরও পড়ুন
আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, “দুর্ভাগ্যক্রমে পরের দিনই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল দীপঙ্কর। তারপরই আরও বেশি করে নোংরা মন্তব্য করতে শুরু করেন এক শ্রেণির মানুষ। এটা তো ঠিক নয়। ওদের (দিলীপ-রিঙ্কু) বিয়ে নিয়েও এমন কিছু মন্তব্য দেখেছি। তবে ভালো মন্তব্যও দেখেছি।”
বিয়ের কোনও নির্দিষ্ট বয়স হয় বলে মনে করেন না দোলন। প্রত্যেকের পরিস্থিতি ভিন্ন। তাই বিয়ের সিদ্ধান্তও তাদের একান্ত ব্যক্তিগত হয়। কিন্তু কিছু মানুষ সময়ের সঙ্গে এগিয়ে গেলেও মানসিকতায় বদল আনতে পারেনি।
দোলনের কথায়, “হ্যাঁ, আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতিতে একটা নির্দিষ্ট বয়স রয়েছে বিয়ের। কিন্তু সেটাই কি সব? একটা সময়ে বাল্যবিবাহ ছিল। একটা সময় বিধবা বিবাহ হত না। কিন্তু সেই সব থেকে বেরিয়ে এসে আমরা এগিয়েছি। এখন হাতের মুঠোয় পৃথিবী। তাই ইতিবাচক বদল তো আসতেই হবে। কিন্তু হাতে ফোন আসায় আমরা সেটা অপব্যবহার করি। যা খুশি বলে দিই।”
দিলীপ ঘোষের বিয়ে নিয়ে অনেকেই বলছেন, তিনি ছক ভেঙেছেন। চেনা ভাবমূ্র্তি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। এই প্রসঙ্গে দোলনের বক্তব্য, “খুব ভালো সিদ্ধান্ত। এটারই হয়তো অভাব ছিল তার জীবনে। এবার তিনি আরও পরিপূর্ণ হলেন। আশা করছি তিনি আরও ভাল কাজ করবেন।”
এনএইচ