বিজয় দিবস উপলক্ষে নির্মিত হয়েছে বিশেষ টেলিফিল্ম ‘রানার’। ১৬ ডিসেম্বর রাত ৮ টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে টেলিফিল্মটি। শোয়েব চৌধুরীর গল্প অবলম্বনে নাট্যরূপ দিয়েছেন সেলিম আহমেদ। পরিচালনা করেছেন গোলাম সোহরাব দোদুল। অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, তারিনসহ আরও অনেকে। 

গ্রামের পোস্ট অফিসের রানার খতিব মিয়া। একজন মুক্তিযোদ্ধা তিনি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের চিঠিপত্র বিলি করার কাজটা খুব আন্তরিকতার সঙ্গে করেন। একা মানুষ তিনি। বাড়িতে ছোট্ট একটা ঘর। সবার সঙ্গে হাসি-খুশি থাকেন সবসময়। 

তবে তার ভেতরে অনেক কষ্ট। যার ডাকে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন সেই মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘরের দেয়ালে রাখা বঙ্গবন্ধুর ছবির সঙ্গে একা একা সব সুখ দু:খের কথা বলেন তিনি। 

বন্ধু, সহযোদ্ধা মাজেদ কমান্ডারের স্ত্রী তারিন খুব দৃঢ়চেতা মানুষ। স্বামী মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়ার পর একা তিনি। তবুও অসহায়ত্ব বুঝতে দেননি কাউকে। তার আন্তরিকতায় আপ্লুত হন খতিব। তার দেবর মিন্টু মুক্তিযুদ্ধের সময় শান্তি কমিটির হয়ে কাজ করেছেন। এখন গ্রামের চেয়ারম্যান হতে চায়। 

রাস্তা করবেন বলে খতিবকে তার বাড়ি ছেড়ে দিতে বলে। কিন্তু খতিব তার বাপ-দাদার ভিটা ছেড়ে যাবেন না বলে জানিয়ে দেয়। এক রাতে খতিবকে ঘুমের মধ্যে রেখে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় মিন্টুর লোকেরা।