শিশু বা কিশোর বয়স পেরিয়ে গেলেও শৈশবের অনুভূতিগুলো মলিন হয়ে যায় না। বরং অনেক সময় তা আরও বেশি করে নানা ঘটনার অনুষঙ্গে ফিরে ফিরে আসে।

এক সাক্ষাৎকারে ছোটবেলা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন শাহরুখ খান। শৈশব-কৈশোরের দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে বলে জানান তিনি। মা তাকে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত নিজের হাতে খাইয়ে দিতেন। এখন শাহরুখ প্রৌঢ়। আরিয়ান, সুহানা ও আব্রামের পিতা তিনি। বলিউডের সফল নায়ক। তবু শৈশবের স্মৃতি মনে জ্বলজ্বল করে অভিনেতার।

শাহরুখের বাবা তাজ মহম্মদ পেশোয়ার থেকে স্থায়ীভাবে ভারতে চলে এসেছিলেন। শাহরুখের বয়স যখন মাত্র ১৫ বছর, তখন তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। শাহরুখের মা ফতিমা খান হায়দরাবাদি। দীর্ঘ রোগভোগের পর ১৯৯০ সালে তিনিও প্রয়াত হন।

শাহরুখ বলেন,  ‘যখন আমি ছোট ছিলাম, সবসময় ভাবতাম কবে বড় হব। আজ যখন বয়স হয়ে গেছে, সেই ছোটবেলাটা সত্যিই মিস করি। আমার মনে হয়, ওটাই আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। 

’’অভিনেতা আরও বলেন,  ‘‘মা আমার আমাকে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত খাইয়ে দিতেন। নিজের হাতে খেতে এখনও অদ্ভুত লাগে।’’

শাহরুখ বলেন, ‘‘আমি মোগলাই ও দক্ষিণী খাবারদাবার খেতে অভ্যস্ত ছিলাম। আমার বাবা ছিলেন পাঠান, খাবার-দাবারের ব্যাপারে যারা কিংবদন্তির পর্যায়ে পড়ে। বাবা শুধু খেতেই ভালোবাসতেন না, দারুণ রান্নাও করতেন।’’ 

শাহরুখ জানান, তার বাবার পাঠান ঘরানায় রান্না করা পদের সঙ্গে মায়ের হাতের হায়দরাবাদি বিরিয়ানি ও খাঁটি ডালের একটা দারুণ মিশ্রণ তৈরি হতো। বাবা-মা সেগুলো মিশিয়ে তাকে খাওয়াতেন। তবে শাহরুখের আক্ষেপ ও সন্তানদের সেই স্বাদ দিতে পারেননি তিনি।

অবশ্য সন্তানদের জন্য পাস্তা ও পিৎজা বানাতে পারেন বলে জানান শাহরুখ। তিনি ডিম সেদ্ধ করতে পারেন, চা বানাতে পারেন। ছোট ছোট গোলাকার রুটি বানাতেও দক্ষ বলে জানান অভিনেতা।

‘পাঠান’ সিনেমা দিয়ে বছরের শুরুতে রাজকীয়ভাবে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে শাহরুখের। ‘জওয়ান’ মুক্তি পাবে সেপ্টেম্বরে।

শাহরুখ-কন্যা সুহানাও বলিউডে আত্মপ্রকাশ করবেন এই বছরেই। অন্য দিকে, আরিয়ান পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার হিসাবেও বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছেন। ব্যবসাতেও মন দিয়েছেন। আব্রাম এখনও স্কুলের ছাত্র।

কেএ