স্ত্রীর মৃত্যুর পর কাজী হায়াৎকে যা বলেছিলেন সোহান
স্ত্রীর মৃত্যু শোক সইতে না পেরে একদিন পর মারা গেলেন পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ বাসায় ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ খ্যাত পরিচালকের।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সোহানুর রহমান সোহানের স্ত্রী প্রিয়া রহমান স্ট্রোক করে মারা যান। তার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই পরপারে পাড়ি জমালেন তিনিও।
বিজ্ঞাপন
প্রখ্যাত এই পরিচালকের মৃত্যুতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বরেণ্য নির্মাতা ও পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ। বুধবার রাতে উত্তরায় সোহানের মরদেহ দেখতে গিয়ে তিনি বলেন, বুধবার আমার সঙ্গে সোহানের কথা হয়েছে। সে আমাকে কান্নাকাটি করে বলল, ‘হায়াৎ ভাই, আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমি স্ত্রী হারানোর শোক সইতে পারি। আল্লাহ যেন আমাকে ধৈর্য দেন।’
আরও পড়ুন- মৃত্যুর আগে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গেলেন সোহান আঙ্কেল : শাবনূর
বিজ্ঞাপন
কাজী হায়াৎ বলেন, আমি মনে করি সোহান ভাগ্যবান, যে স্ত্রীর শোক খুব বেশি সময় ধরে তাকে সইতে হয়নি। সব ছিন্ন করে তিনিও চলে গেলেন।
এই পরিচালক আরও বলেন, ‘সোহানুর রহমান সোহান নেই–এটি মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। নির্মাতা হিসেবে যেমন ভালো ছিলেন, তেমনই সংগঠক হিসেবে যোগ্য ছিলেন। পরিচালক সমিতির নির্বাচিত নেতা ছিলেন কয়েকবার। সদস্যদের সুখেদুঃখে পাশে দাঁড়াতেন সবসময়। ব্যক্তি সোহানও অনেক ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তার জন্য সবাই দেওয়া করবেন।’
সোহানুর রহমান সোহান ১৯৬০ সালের ১৫ অক্টোবর বগুড়ার ফুলবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর শিবলি সাদিকের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রজীবন শুরু করেন ৭০ দশকের শেষের দিকে। পরবর্তীতে তিনি শহীদুল হক খানের ‘কলমিলতা’ (১৯৮১), এজে মিন্টুর ‘অশান্তি’ (১৯৮৬) ও শিবলি সাদিকের ‘ভেজা চোখ’ (১৯৮৮) চলচ্চিত্রে সহকারী হিসেবে কাজ করেন। একক ও প্রধান পরিচালক হিসেবে তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’ মুক্তি পায় ১৯৮৮ সালে। তিনি মূলত প্রেম-বিরহ ঘরানার মূলধারার চলচ্চিত্র পরিচালনায় পারঙ্গম ছিলেন। তার নির্মিত সিনেমার সংখ্যা ২৫টি।
এনএইচ