সংবাদ সম্মেলন

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত। এই মহামারির সময়ে নারী ও কিশোরীদের যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ সময়ে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ বেড়েছে। ফলে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যঝুঁকিও বেড়েছে।

রোববার (০৬ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুরের মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে (এমসিএইচটিআই) ২শ শয্যার মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য হাসপাতাল উদ্বোধন ও তিন দিনব্যাপী পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা এখন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। কমিউনিটি ক্লিনিক, টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে আমরা বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছি। স্বাস্থ্যখাতে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো উপাধি পেয়েছেন।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনার কারণে বড় বড় রাষ্ট্রগুলো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। লকডাউন হয়ে যাচ্ছে, শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থা সেসব দেশের তুলনায় অনেক ভালো। করোনা আমাদের দেশে নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা দেশে শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে এনেছি। সর্বোপরি আমরা করোনাকালে সব সেক্টরেই এগিয়ে আছি। সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বের কারণে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের দাবি ছিল অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু হোক। আমরা ১০ জেলায় তা শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে সব জেলায় এই টেস্টের ব্যবস্থা করবো। আমাদের পিসিআর ল্যাব চালু আছে, জিন এক্সপার্ট মেশিন দিয়েও করোনা পরীক্ষা চালু আছে। পাশাপাশি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা চালু আছে। কিন্তু সেজন্যতো রোগীদের আসতে হবে।’

রোগীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা আসেন। পরীক্ষা করান, চিকিৎসা নেন, সেবা নেন, ভালো থাকবেন।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় আমরা সব চেষ্টা করছি। করোনাকালেও আমাদের চিকিৎসক-নার্সরা জীবন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। কোনো হাসপাতালেই আমাদের স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়নি।’

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এমসিএইচটিআই’র পরিচালক ডা. মোহ. শামছুল করিম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আলী নুর, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক প্রমুখ।

টিআই/জেডএস