আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেছেন, পাকিস্তানের কারাগারে থেকে মুক্ত হয়েই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ পরিবারের খোঁজ না নিয়ে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের খোঁজ-খবর নিয়েছিলেন। বিদেশ থেকেই ফোনে বঙ্গমাতার কাছে প্রথমে বাংলাদেশের খবর নেন, এরপর এক ছাত্রলীগ নেতা এবং সর্বশেষ তিনি নিজ পরিবারের সদস্যদের খবর নেন।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিল্টন হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএমএ সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু এমনই এক ব্যতিক্রমী মহান নেতা ছিলেন। তিনি মুক্ত হয়েই ভারতের মাটিতে অবস্থান করে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্ধিরা গান্ধীর কাছে বাংলাদেশ থেকে ভারতের সৈন্য ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব করেন। বঙ্গবন্ধু তার সমগ্র জীবনে অভিষ্ঠ লক্ষ্য থেতে বিচ্যুত হননি। 

ডা. মোস্তফা জালাল বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা অবশ্যই বাস্তবায়ন হবে। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’ এ কথাও আমাদের স্মরণ রাখতে হবে।  

আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও নিটোরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামসুদ্দীন আহমেদ স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে ভালোবাসতেন, বঙ্গবন্ধু চিকিৎসকদের যে কতটা ভালোবাসতেন তা বলে বোঝানো যাবে না। 

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরেছিলেন বলেই বাঙালি বিজয়ের পূর্ণ আনন্দ পেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তার শাসনামলের সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করেছিলেন।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. সুরাইয়া বেগম,  রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার প্রমুখ।

টিআই/এসকেডি