যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি ক্লিনিকে অনলাইনে চিকিৎসা চালুর আহ্বান

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সফলতা পেতে হলে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তামাক সেবনসহ যেসব কারণে যক্ষ্মা রোগ হয় সেসব বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার পাশাপাশি দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিকে অনলাইনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা চালু করতে হবে। এক্ষেত্রে  উচ্চগতির ডিজিটাল সংযোগসহ প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। 

বুধবার (১২ জুলাই) ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশে  যক্ষ্মা (টিবি) রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জাতীয় পরামর্শক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজেকেই ভূমিকা রাখতে হবে। নিজে ও পরিবারের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। যক্ষ্মার জন্য তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য সেবন অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তামাক সেবন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।

যক্ষ্মার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ আন্দোলনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে পারে। 

ডিজিটাল সংযুক্তি, ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যখাতসহ দেশের প্রতিটি খাতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে বলে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, কোভিডকালে আমরা যে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছি বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও তা পারেনি।

মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অর্থনীতি থেকে শুরু করে উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে ২০৩৫ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পার্লামেন্টারি ককাস গঠনমূলক যেকোনো প্রস্তাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি কমিউনিটি ক্লিনিক সমূহে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মতো যক্ষ্মা শনাক্তকরণ ও অনলাইন চিকিৎসা সেবা চালু করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান, নার্গিস রহমান ও উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম এবং স্বাস্থ্য সুখের ফাউন্ডেশনের ইডি ডা. নিজাম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।

এমএম/কেএ