সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মুনা, ডা. মিলি ও ডা. শাহজাদীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ওজিএসবি ও বাংলাদেশের সব সোসাইটির চিকিৎসকরা।

রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বাগান গেটের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আহমেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা রোগীদের সুস্থ করার জন্যই এ পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করেছি। আমরা যদি প্রথমেই সিদ্ধান্ত নেই রোগী বাঁচবেন না তাহলে তো তার চিকিৎসাই হবে না। আমরা চেষ্টা করি একটি রোগীকে সুস্থ করে তুলতে। এক্ষেত্রে কোনো রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন আবার কেউ মারাও যান। এজন্য যদি প্রথমেই আমাদের দায়ী করা হয়, তাহলে আমরা চিকিৎসা সেবা দেবো কী করে। এ বিষয়টি সামনে রেখেই আজ আমাদের এ প্রতিবাদ সমাবেশ।

তিনি বলেন, আমাদের যে তিন চিকিৎসক কারাগারে আছেন আমরা তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। তারা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু এ চিকিৎসকরা দোষী কী না সে বিষয়টি জানার আগেই তাদের কারাগারে রাখা হয়েছে।

গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শিখা গাঙ্গুলী বলেন, আমরা সব সময় চেষ্টা করি রোগীদের আন্তরিকভাবে চিকিৎসা দেওয়ার। চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে আমাদের বিভিন্ন বাধ্যবাধকতা থাকে। সেবা দিতে গিয়ে রোগীর শরীরে বিভিন্ন রকম ক্রিটিকাল অবস্থা তৈরি হয়। সেগুলোকে মাথায় নিয়েই আমাদের তাদের চিকিৎসা সেবা দিতে হয়। আমরা চেষ্টা করি রোগীদের বাঁচানোর জন্য, তবে অনেক সময় সেটি সম্ভব হয় না। কিন্তু সে ক্ষেত্রে যদি আমাদের হয়রানি, মামলা-হামলার শিকার হতে হয় সেটি খুবই দুঃখজনক। আমাদের তিন চিকিৎসকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের এ প্রতিবাদ সমাবেশ চালাতে গিয়ে কোনো রোগীর চিকিৎসায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকে শতভাগ মনোযোগ দিয়েই আমরা এক ঘণ্টার জন্য এ কর্মসূচি নিয়েছি। আর এজন্য বাংলাদেশের সব চিকিৎসালয়ের চিকিৎসকেরা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করবেন।

এসময় হাসপাতালের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, কনসালটেন্ট ও বিভিন্ন চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।

এসএএ/এফকে