৫ লাখের বেশি রোগীকে সেবা : প্রাভা হেলথের অসাধারণ মাইলফলক
বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল হেলথকেয়ার ব্র্যান্ড প্রাভা হেলথ সম্প্রতি পাঁচ লাখের বেশি রোগীকে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার মাইলফলক অর্জন করেছে। প্রাভা হেলথের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ার ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিলভানা কিউ সিনহা বিশ্বাস করতেন, দেশের সবাই বিশ্বমান ও রোগীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়ার যোগ্য এবং এই বিশ্বাসেই ২০১৮ সালে তিনি প্রাভা হেলথ প্রতিষ্ঠা করেন, যা 'ক্লিক-অ্যান্ড-ব্রিক' মডেলের মাধ্যমে পূর্ণ-পরিষেবা চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে।
সিনহা বলেন, আমরা কয়েক লাখ রোগীর আস্থা অর্জন করতে পেরে খুবই গর্বিত এবং সব স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনে প্রাভার ওপর তাদের আস্থা দেখে এবং স্বাস্থ্যসেবা নিতে বারবার প্রাভাতেই আসতে দেখে তাদের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। মানুষের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের সন্তুষ্ট করতে পারা একটি বিশেষ সৌভাগ্যের বিষয় এবং এটি কেবলমাত্র আমাদের অভিজ্ঞ ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান, ফার্মেসি স্টাফ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ল্যাবরেটরিসহ সব কর্মীদের প্রচেষ্টার কারণেই সম্ভব হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, যে উদীয়মান বাজারে বিশ্বের ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস করে, সেখানে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা তৈরি করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রাভার মডেলকে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের হেলথ সেক্টরে এমনভাবে প্রসারিত করা যেন রোগীরা যেখানেই থাকুক না কেন; সেখান থেকেই সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে এবং উদ্ভাবনী মডেলগুলোতে বিনিয়োগ করে ডিজিটাল ও পার্সোনালাইজড সেবাগুলোকে একীভূত করে, প্রাথমিক পরিচর্যা এবং ল্যাবের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সবার আগে পেশেন্টের সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। আমরা আনন্দিত, পেশেন্ট-সেন্ট্রিক সেবা এবং গুণগতমান নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা আমাদের সব রোগীর সেবা দিতে সক্ষম হয়েছি এবং এজন্য প্রাভার সব রোগী যেকোনো স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনে প্রাভাতেই ফিরে আসে।
মাত্র পাঁচ বছরে প্রাভা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অসংখ্য স্বীকৃতি পেয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে 'ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম অ্যাজ এ টেকনোলজি পাইওনিয়ার অ্যান্ড গ্লোবাল ইনোভেটর' এবং 'ফাস্ট কোম্পানি অ্যাজ এ ওয়ার্ল্ড চেঞ্জিং আইডিয়া'। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি এবং কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির বিজনেস স্কুলগুলো প্রত্যেকে এখন শিক্ষার্থীদের প্রাভার বিজনেস মডেল কেস স্টাডি হিসেবে পড়ায়। এছাড়া সম্প্রতি বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, সিএফএও হেলথকেয়ার, এলি লিলি অ্যান্ড কোম্পানি, লিম, প্রোপারকো এবং সানোফি দ্বারা স্পনসর করা, 'নিম্ন ও মধ্য-আয়ের দেশগুলোতে অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বাস্থ্যসেবা স্কেল করা' প্রতিবেদনে প্রাভার কাজ ফিচার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের ছয়টি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ল্যাবের মধ্যে একটি প্রাভা ল্যাব যা বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড কর্তৃক ISO 15189-2012 সার্টিফিকেশন প্রাপ্ত। প্রযুক্তির বিরামহীন ইন্টিগ্রেশনের কারণে মহামারি চলাকালীন এবং পরে উভয় ক্ষেত্রেই রোগীদের আন্তর্জাতিকমানের সেবা দিতে পেরেছে প্রাভা। এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারির সময় রোগীর সংখ্যাকে চারগুণ করেছে, এনপিএস স্কোর ধারাবাহিকভাবে ৮৫-৯০ বজায় রাখছে, যা বেশিরভাগ ফরচুন ৫০০ কোম্পানির এনপিএস স্কোরের চেয়ে বেশি।
প্রাভার পার্টনার এবং ক্লায়েন্টদের মধ্যে রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্বব্যাংক, ইউনিলিভার, স্যামসাং, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো এবং কোকা-কোলা সহ আরও ৮০০ কোম্পানি। কোম্পানির উল্লেখযোগ্য কিছু বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে রিটায়ার্ড ইউএস আর্মি জেনারেল ডেভিড পেট্রিউস এবং ইন্টেলের প্রাক্তন চেয়ার ড. ওমর ইশরাকসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট স্বাস্থ্যসেবা উদ্যোক্তা এবং এর গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল ব্যবসা, স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রযুক্তিতে দুই ডজনেরও বেশি শীর্ষ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গর্ব করে।
জেডএস