চিকিৎসকদের ওপর হামলা : ‘কঠোর ভাষায়’ স্বাচিপের প্রতিবাদ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনাকে ‘ন্যক্কারজনক হামলা’ উল্লেখ করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)।
স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী এবং মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, গত ৬ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল ছাত্রদের ওপর সন্ত্রাসী ও হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশদের কর্তৃক ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চিকিৎসক সমাজে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।
এতে বলা হয়, ফাঁড়ির পুলিশ কর্তৃক এ জঘন্য হামলার ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
স্বাচিপ নেতারা বলেন, যারা হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য নিয়োজিত, সেই পুলিশ সদস্যরাই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান তারা।
প্রসঙ্গত, সাধারণত চিকিৎসকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া বা প্রতিবাদগুলোতে চিকিৎসকদের সংগঠন হিসেবে স্বাচিপে তেমন সক্রিয়তা দেখা যেত না। তবে সেন্ট্রাল হসপিটালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দুই চিকিৎসককে আটকের ঘটনায় অন্যান্য সকল চিকিৎসক সংগঠনগুলোর পাশাপাশি নড়েচড়ে বসে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদও। এরপর ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় স্বাচিপের প্রতিবাদেও কঠোর ভাষার ব্যবহার হয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর চিকিৎসাসেবা প্রদানকে কেন্দ্র করে স্বজনরা কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক আহত হন। পরবর্তীতে হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে আটজন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল ছাত্র পুলিশ ফাঁড়ির কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য কর্তৃক পুনরায় হামলা ও মারধরের শিকার হয়ে দুইজন ইন্টার্ন চিকিৎসক গুরুতর আহত হন।
টিআই/এসকেডি