ক্যান্সার গবেষণা তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো ‘টেরি ফক্স রান’ নামে দৌড়ের আয়োজন করেছে নিউ হরাইজন ক্যানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (এনএইচসিএস)। আয়োজকরা জানান, স্কুলটির প্লে গ্রুপ থেকে গ্রেড ওয়ানের শিক্ষার্থীরা এই দৌড়ে অংশ নিয়েছেন।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এনএইচসিএস স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে নিউ ইস্কাটন এলাকার দিলু রোড পর্যন্ত এই প্রীতি দৌড় অনুষ্ঠিত হয়। দৌড়টি স্মরণীয় করে রাখতে অংশগ্রহণকারীরা সকলে বিশেষ টি-শার্ট পরে, এবং ক্যান্সার গবেষণা তহবিলে প্রত্যেকে ১০০ টাকা অনুদান জমা দেন।

জানা গেছে, টেরি ফক্স রান মূলত একটি প্রীতি ও দাতব্য দৌড়ের আয়োজন, যা বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার গবেষণা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ক্যান্সার সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে টেরি ফক্সের ঐতিহাসিক প্রচেষ্টাকে স্মরণীয় করে রাখা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে অনুরূপ অদম্য প্রচেষ্টার মানসিকতা গড়ে তোলাই এর উদ্দেশ্য।

আয়োজকরা জানান, কানাডার অনন্য জাতীয় নায়ক টেরি ফক্স ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। ক্যান্সার প্রতিরোধে গবেষণায় আর্থিক সহযোগিতার লক্ষ্যে তিনি তহবিল সংগ্রহে উদ্যোগী হন, এবং “ম্যারাথন অব হোপ” নামে এক ঐতিহাসিক আয়োজনের মাধ্যমে কানাডার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দৌড়ে পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। তার লক্ষ্য ছিল কানাডার প্রতিটি নাগরিকের কাছ থেকে ১ ডলার সংগ্রহ করে ক্যান্সার গবেষণা তহবিলে জমা করা। দূর্ভাগ্যজনকভাবে দৌড় সমাপ্তির আগেই টেরি ফক্সের মৃত্যু ঘটে; কিন্তু এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে তিনি ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেন।

ক্যান্সার প্রসঙ্গে সচেতনতা তৈরি ও গবেষণায় সহযোগিতার মাধ্যমে টেরি ফক্সের যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টেরি ফক্স রান আয়োজিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো টেরি ফক্স রান আয়োজন করেছে এনএইচসিএস।

আয়োজনটিতে অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডা হাইকমিশনের ট্রেড কমিশনার কাজী গোলাম ফরহাদ, বাংলাদেশ ক্যান্সার সচেতনতা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ডা. মোহাম্মদ মাসুমুল হক, নিউ হরাইজন ক্যানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ডিরেক্টর ও সিইও আনজাম আনসার বাজু, এবং প্রিন্সিপ্যাল ক্রিস্টাল জাউগ। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবক, শিক্ষক ও স্কুলের অন্যান্য কর্মকর্তা, এবং বিভিন্ন ক্যান্সার ফাউন্ডেশন থেকে আগত সম্মানিত অতিথিদের অংশগ্রহণে আয়োজনটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

টিআই/এসকেডি