অনেক রোগ বছরের নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বছর থেকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, মানুষের রোগের কোনো ভৌগোলিক সীমানা নেই। রোগ সব দেশেই হতে পারে। যেমন ডেঙ্গু শুধু বাংলাদেশই নয়, সব দেশেই হচ্ছে।

সোমবার (৯ অক্টোবর) বিএসএমএমইউর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা কনভেনশন হলে সমসাময়িক গবেষণা এবং উদ্ভাবনের অগ্রগতির লক্ষ্যে মেডিসিনস সানস ফ্রন্টিয়ার্স সায়েন্টিফিক ডে, এশিয়া ২০২৩ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, রোগ নিরাময়ের চেয়ে রোগ প্রতিরোধ করা উত্তম। বাস্তবায়ন করতে হলে সচেতনতার পাশাপাশি রোগের উৎস ও প্রতিকার সম্পর্কে গবেষণা অপরিহার্য। রোগ প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপায় নির্ধারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ ইনফরমেটিক্স বিভাগ অনেক ভালো গবেষণা করে যাচ্ছে। এ গবেষণা কাজে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের ফ্রন্টিয়াররা অংশ নিচ্ছে।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহায়তায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ভারত, কেনিয়া, তিউনেশিয়া, ফিলিপাইনস, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, মালয়শিয়া, জার্মানি, বেলজিয়াম, কানাডা, ফ্রান্স, ব্রাসেলস ও গ্রিসের মোট ৩২ জন বিজ্ঞানীসহ অন্তত ৫০ জনের বেশি গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।

এসময় বক্তারা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সেবার মান উন্নত করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন। একইসঙ্গে ডাক্তার এবং রোগীর প্রতিনিধি যারা এশিয়াজুড়ে চিকিৎসা এবং মানবহিতৈষী কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন সেখান থেকে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। 

জানা গেছে, সম্মেলনে যক্ষ্মা, অসংক্রামক রোগ, ডেঙ্গু, জরায়ু মুখ ক্যান্সার, হেপাটাইটিস সি, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা, বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী, বার্ধক্যের ওপর সেশন উপস্থাপিত হয়। একইসঙ্গে এশিয়া এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের স্বাস্থ্য সমস্যা এবং তার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সম্মেলনে বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। উদ্বোধনী অধিবেশনটি পরিচালনা করেন ডা. ভীস্মরাজ শ্রীস্তব এবং সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারিহা হাসিনা।

এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, এমএসএফের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডা. ফারহাত মান্টো, অ্যাডভাইজার টু কান্ট্রি রিপ্রেসেন্টেটিভ ডা. রাবেয়া খাতুন, এমএসএফের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. বিশ্বরাজ শ্রীভাস্তভ, এমএসএফের স্ট্রাটেজিক ম্যানেজার হেলেন ও নিলসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

টিআই/জেডএস