স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যে পর্যন্ত এডিস মশা থাকবে সে পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীও থাকবে
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, যে পর্যন্ত এডিস মশা থাকবে সে পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীও থাকবে। কাজেই আমাদের মশা কমাতে হবে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে চীন সরকারের ডেঙ্গু কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী বলেন, মশার ওষুধ স্প্রে করতে হবে, নিজের আঙ্গিনা, ঘরের ভেতর নিজেদেরই পরিষ্কার রাখতে হবে। এর বাইরে ডোবা নালা যেগুলো রয়েছে সেগুলো সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভা করবে। তাদের আমরা সব সময় বলে আসছি, বছরব্যাপী একটি কর্মসূচি তাদের করা প্রয়োজন। যার মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। তা না হলে প্রতিবছরই ডেঙ্গুর সমস্যা দেখা দেবে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে দাবি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য আলাদা বেড রয়েছে, আইভি ফ্লুয়িড বা স্যালাইনের কোন অভাব নেই। ডেঙ্গুর চিকিৎসাও সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ডেঙ্গু এখনো আছে, প্রতিদিন প্রায় ১০ জন ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছে এবং দুই হাজারের বেশি লোক প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমি যেটা দেখেছি, ঢাকার বাইরে সারাদেশে এখন ডেঙ্গু সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বেশি। ঢাকায় সংক্রমণের হার কমে আসছে, কিন্তু মৃত্যু হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে ক্রিটিকাল কেসগুলো ঢাকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়। লম্বা সময় জার্নি করে আসার কারণে অনেক সময় রোগী সক সিনড্রোমে চলে যায়। ফ্লুইডের অভাবেও তারা মৃত্যুবরণ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নারীদের সংক্রমণ কম হলেও মৃত্যুর হার বেশি। নারীরা অনেক সময় চিকিৎসা নিতে দেরি করেন। নারীদের প্রতি আরও বেশি সজাগ হওয়া প্রয়োজন। তাদের তাড়াতাড়ি পরীক্ষা এবং চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। তাহলেই নারীদের মৃত্যু হার কমে যাবে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা চীন সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ১০ লাখ ডেঙ্গু টেস্ট কিট পাব। পাশাপাশি তারা বেশ কিছু যন্ত্রপাতিও প্রদান করবে। এর মধ্যে ব্লাড সেপারেটর, ফ্রিজার, অটো হেমাটোলাইজার এবং ব্লাড ব্যাগ রয়েছে। এসব জিনিস আমাদের ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রয়োজন হয়। এসব জিনিস আমাদের রয়েছে এবং যেগুলো পেলাম তাতে আমাদের হাসপাতালগুলো আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে।
এসএইচআর/এসকেডি