১৫ এপ্রিল থেকে রোগী ভর্তি শুরু হাজার শয্যার করোনা হাসপাতালে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ডিএনসিসির করোনা আইসোলেশন সেন্টারটি হাজার শয্যার হাসপাতালে রূপ নিচ্ছে। আগামী ২০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হবে হাসপাতালটি।
তবে, এর আগেই আগামী ১৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে হাসপাতালটির অন্তত ৫০টি আইসিইউ এবং ২৫০টি সাধারণ শয্যায় রোগী ভর্তি শুরু করা হবে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এই হাসপাতালটিকে দেশের সবচেয়ে বড় ও বিশেষায়িত করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। আগামী ২০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে এটি খুলে দেওয়া হবে। আইসোলেশন সেন্টার থেকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপ দিয়ে এটির নতুন নামকরণ করা হবে।’
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এখানে পরিপূর্ণ ১০০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) ও ১২২টি হাই ডিপেনডেনসি ইউনিট (এইচডিইউ) শয্যা থাকবে। এছাড়া সাধারণ শয্যা থাকবে প্রায় এক হাজার। ১৫ এপ্রিল নাগাদ অন্তত ৫০টি আইসিইউ ও ২৫০টি সাধারণ শয্যায় রোগী ভর্তি শুরু করা যাবে। বাকিগুলোর কাজ চলতে থাকবে। আশা করছি, চলতি মাসের শেষদিকে পুরো হাসপাতালটি প্রস্তুত হয়ে যাবে।’
বিজ্ঞাপন
ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, এই হাসপাতাল ভবনটি সিটি করপোরেশনের। হাসপাতালটির যন্ত্রপাতি ও জনবলসহ অন্যান্য সরঞ্জাম দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অবকাঠামোগত প্রস্তুতির কাজ বাস্তবায়ন করে দিচ্ছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় থাকছে আর্মস ফোর্সেস মেডিকেল ডিভিশন। এখানে রোগীদের চিকিৎসা দিতে ৭০০ চিকিৎসকের জন্য আবেদন করা হয়েছে এবং ৫০ জন ইতোমধ্যেই নিয়োগ পেয়েছেন।
বসুন্ধরায় নির্মিত ২০১৩ বেডের অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল ভেঙে এর যন্ত্রপাতি ও আসবাব এখানে যুক্ত করা হচ্ছে। এখানে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিদেশ যাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে প্রবাসীদের নমুনা সংগ্রহ এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার ফি বাবদ নেওয়া হচ্ছে তিন হাজার ৫৩৫ টাকা।
টিআই/এফআর/জেএস