ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের পর এবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে কর্মরত পাঁচ চিকিৎসককে ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার মেডিকেল কলেজে বদলি করেছে সরকার।

সোমবার (৯ সেপ্টম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (পার-১) উপসচিব দূর-রে-শাহ্ওয়াজ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বদলির আদেশ পাওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. নুর হোসেন ভূঁইয়াকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগে, শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ইফফাত আরা সামসাদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগে, সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ জেড এম মাহফুজুর রহমানকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ খোরশেদ আলমকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারি এবং মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মাদ মুরাদ হোসেনকে নীলফামারী মেডিকেল কলেজে বদলি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার ও স্বাস্থ্য সার্ভিসের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদেরকে তাদের নামের পাশে বর্ণিত কর্মস্থলে বদলি ও পদায়ন করা হলো। পদায়কন করা কর্মকর্তাকে আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় পরবর্তী কর্মদিবসে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি মর্মে গণ্য হবেন।

এমনকি বদলি/পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদানের ব্যর্থতায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষকতার আড়ালে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও নিজের স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত ছিলেন বদলির আদেশ পাওয়া এই পাঁচ শিক্ষক। সেই সঙ্গে স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সুবিধাভোগীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। শিক্ষার্থীদের বিপদে পাশে দাঁড়াতে না পারলেও স্বৈরাচার সরকারের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের স্বার্থ হাসিলে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। এরমধ্যে অধ্যাপক ডা. ইফফাত আরা সামসাদ, অধ্যাপক ডা. মো. নুর হোসেন ভূঁইয়া ও ডা. মুরাদ হোসেন গত ৩ আগস্ট ছাত্র-জনতাকে বিষোদগার করার জন্য আয়োজিত শান্তি সমাবেশে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন।

টিআই/জেডএস