স্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বৈষম্যের প্রতিবাদে চার দফা দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল কমিউনিটি। দাবি আদায় না হলে কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বুধবার (৭ মে) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত কর্মসূচি থেকে চিকিৎসকরা জানান, অন্যান্য ক্যাডারে বিসিএসে বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানো হলেও স্বাস্থ্য ক্যাডারে সেই সুবিধা এখনো দেওয়া হয়নি। অথচ এমবিবিএস ও ইন্টার্নশিপ মিলিয়ে চিকিৎসকদের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করতে সময় লাগে প্রায় সাত বছর।

কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন অপথালমোলজি রেসিডেন্ট ডা. নাজমুল ইসলাম, ডেন্টাল সার্জন ডা. জহিরুল ইসলাম, বিএমসির কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. আবুল আলা, ডা. মো. মাহমুদুর রাহমান চৌধুরী এবং ইউমব'র কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ডা. মো. মুবারক হোসাইন। এছাড়া বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।

ইউমব'র কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ডা. মো. মুবারক হোসাইন বলেন, আমরা বারবার বলছি, স্বাস্থ্যখাত শুধুই পেশা নয়— এটা জনগণের অধিকার রক্ষার জায়গা। কিন্তু সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে চিকিৎসকরাই বারবার অবহেলিত হচ্ছেন। বয়সসীমা বাড়ানোর মতো ন্যূনতম যৌক্তিক বিষয়েও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া নেই। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে সারাদেশের চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে।

চার দফা মূল দাবি-

১. বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৪ বছরে উন্নীত করা।
২. স্পেশাল বিসিএসে ন্যূনতম ৫০০ জন ডেন্টাল সার্জন নিয়োগ।
৩. পিএসসি ও পরীক্ষা পদ্ধতির দ্রুত সংস্কার।
৪. প্রতিবছর ন্যূনতম ১ থেকে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ নিশ্চিত করে একটি বিসিএস প্রক্রিয়া এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা।

বক্তারা আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মূল প্রতিপাদ্য ছিল বৈষম্য নিরসন। অথচ আজও স্বাস্থ্যখাত চরম বৈষম্যের শিকার। আমাদের দাবিগুলো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে, নইলে আন্দোলনের পরিধি আরও বাড়ানো হবে।

টিআই/এমজে