তৃতীয় দিনের মতো চলছে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি
উৎসাহ-আনন্দে টিকা নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা
শিশুদের টাইফয়েড থেকে সুরক্ষিত রাখতে সারা দেশে চলছে জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি। রাজধানীসহ বিভিন্ন স্কুল-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে উৎসবের আমেজ। হাতে ভ্যাকসিন কার্ড, মুখে হাসি– এভাবেই শিক্ষার্থীরা সারিবদ্ধভাবে টিকা নিচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানাসহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সকাল থেকে শিশু ও অভিভাবকদের ভিড়। শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে নিয়ম মেনে, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীদের তত্ত্বাবধানে।
বিজ্ঞাপন
আজিমপুর গার্লস স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত জাহান বলে, ‘টিকা নেওয়ার সময় একটু ভয় লাগছিল, কিন্তু কিছুই হয়নি। এখন আমি খুশি যে টাইফয়েড হবে না।’
তার সহপাঠী মাইশা হেসে বলে, ‘স্যার বলেছিলেন টিকা নিলে শরীর শক্ত হবে, তাই আমি সকালে নাস্তা করেই টিকা নিতে চলে এসেছি।’
আরও পড়ুন
অভিভাবকরাও এ উদ্যোগে সন্তুষ্ট। এক অভিভাবক রুবিনা সুলতানা বলেন, ‘সরকার যে বিনামূল্যে এই টিকা দিচ্ছে, এটা অনেক বড় বিষয়। আগের টিকার মতো এটাও সবাইকে নিতে হবে, কারণ টাইফয়েড এখন গ্রামে-শহরে সবখানেই ছড়িয়ে পড়েছে।’
আজিমপুর এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী হাসিনা বেগম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা খুব উৎসাহ নিয়ে টিকা নিচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে একেকটি কেন্দ্রে তিন থেকে চারশ শিশুকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। যাদের জন্মসনদ নেই, তাদের জন্য আমরা সঙ্গে সঙ্গে ম্যানুয়াল নিবন্ধনের সুযোগ দিচ্ছি, যেন কেউ বাদ না পড়ে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআই সূত্র জানায়, ১২ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্কুল ও মাদ্রাসায় এবং ১ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত কমিউনিটি ক্লিনিকে টিকা দেওয়া হবে। এ কর্মসূচির আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়া হচ্ছে।
টিকা নিতে আগ্রহীরা https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে গিয়ে ১৭ সংখ্যার জন্মনিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে নিবন্ধন করতে পারবেন। জন্মসনদ না থাকলে স্থানীয় টিকাকেন্দ্রে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় নিবন্ধন করা যাবে।
টিআই/এসএসএইচ