বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ডা. আজিজুল ইসলাম শেষ পর্যন্ত পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। মন্ত্রণালয় তাকে অপসারণ করতে যাচ্ছে— এ তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর রোববার দুপুরে জাতীয় সদর দপ্তরে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্ন সত্ত্বেও কোনো লিখিত পদত্যাগপত্র দেখাতে পারেননি।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জনসংযোগ শাখা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, গত ৪ নভেম্বর একজন নারীকে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নতুন বোর্ড গঠনের প্রস্তাবনা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সইয়ের পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। একইসঙ্গে রেড ক্রিসেন্টে চলমান অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ যাচাই করতে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত টিম গঠনের চিন্তাও চলছে মন্ত্রণালয়ে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডা. আজিজ চেয়ারম্যান হিসেবে থাকছেন না, মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের এই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর দায় চাপিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। চেয়ারম্যান থাকাকালীন তার অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কৌশলে পাশ কাটিয়ে যান। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের (স্বাস্থ্য উপদেষ্টার) সহযোগিতা পাচ্ছেন না, পুরো সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ আনেন বারবার।

এর আগে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আপনাকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। এ সময় পদত্যাগ করা কতটুকু যুক্তিসম্মত— উত্তরে ডা. আজিজ বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত আমি জানি না, আমার সমস্যার কথা আমি সরকারকে বলেছি। আমার সুপ্রিম অথরিটিকে আমি নিজে কনভিন্স করার চেষ্টা করেছি, আপনাদের মাধ্যমেও করেছি। উনি যদি মনে করেন আমি সঠিক কাজ করছি না, উনি যদি কনভিন্স না হয়, তাহলে আমি কাজ করতে পারব না, বাধাপ্রাপ্ত হব। বাধাপ্রাপ্ত হলে আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না। আমাকে কোনো না কোনোভাবে বাধা দেওয়া হবে। সেজন্য আমি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি।

এদিকে চেয়ারম্যানের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে ভাইস চেয়ারম্যান, ট্রেজারার ও দুজন বোর্ড মেম্বার গত ৩০ অক্টোবর ও ২ নভেম্বর পদত্যাগ করেন।

টিআই/এমজে