চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যেই ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেছেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরের ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট তিন কোটি ডোজ পাবে বাংলাদেশ।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত চুক্তি অনুষ্ঠানে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অক্সফোর্ডের যে ভ্যাকসিন আমরা নিচ্ছি, ৩ কোটি ডোজের জন্য সেটির পারচেজ ডকুমেন্ট আমরা সই করেছি। এটা আমরা সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছে পাঠিয়ে দেবো। তারা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এটি পেয়ে যাবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘সিরামের সঙ্গে ৩ কোটি ভ্যাকসিনের চুক্তি হলেও বাংলাদেশের সব মানুষের জন্য ভ্যাকসিন চাওয়া হবে। যদি তারা দিতে না পারে তাহলে অন্য কারো সঙ্গে ভ্যাকসিনের জন্য চুক্তি করা হবে।’

দেশে কবে নাগাদ ভ্যাকসিন আসতে পারে? এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আশা করছি জানুয়ারি মাসের কোনো এক সময় আমরা এই ভ্যাকসিন পাব। এর আগে অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন লাগবে। আমাদের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরেও অনুমোদনের বিষয় আছে। আশা করছি, শিগগিরই আমরা এটি পাব।’

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছাড়াও অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ও অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় থাকা করোনাভাইরাসের এই ভ্যাকসিনটি উদ্ভাবন করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ নির্মাতা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ভারতে ভ্যাকসিনটি উৎপাদন কবে সিরাম ইনস্টিটিউট। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে ভ্যাকসিনটি বাংলাদেশ আসছে। গত ৫ নভেম্বর এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল।

টিআই/জেডএস