প্রাভা হেলথ কেয়ারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ও অনিয়মগুলো সংশোধন করায় আবারও প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম চালুর সুযোগ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে আবার অনিয়ম পেলে লাইসেন্স বাতিল করে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) থেকে আগের নিয়মে সব কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এর আগে সোমবার (২৩ আগস্ট) রাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ফরিদ হোসেন মিঞা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, কিছু অনিয়মের কারণে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল। পরে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে এবং অনিয়মগুলো সংশোধনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং অনতিবিলম্বে পিসিআর রুমে একটি বায়োসেফটি কেবিনেট স্থাপন ও মাস্টারমিক্স রুম থেকে পিসিআর রুমে স্যাম্পল দেওয়ার জন্য পাসবক্স স্থাপনের শর্তে প্রাভা হেলথের কার্যক্রম আবার চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আবার কোনো অনিয়মের প্রমাণ পেলে প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী সিলভানা কিউ সিনহা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে যেসব বিষয়ে সংশোধনের নির্দেশনা দিয়েছিল, সেগুলো সংশোধন করেছি। তারা আবার আমাদের প্রতিষ্ঠানটি ভিজিট করেছে। সবকিছু ঠিক থাকায় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আবার চালু করার জন্য একটি চিঠি দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২ আগস্ট বেশ কিছু অনিয়ম পাওয়ার কথা জানিয়ে প্রাভা হেলথের সব কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, করোনাভাইরাসের নমুনা কালেকশন বুথে পৃথক ডনিং এবং ডফিং রুম থাকার নিয়ম থাকলেও প্রাভা হেলথে একই কক্ষে দুটি কাজই চলছিল।

আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্টে বিএমডিসির নিবন্ধিত একজন চিকিৎসকের স্বাক্ষর প্রয়োজন, কিন্তু প্রাভা হেলথের দেওয়া কোনো প্রতিবেদনে তা ছিল না।

বিদেশগামী যাত্রীদের করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকারি নির্ধারিত ফি সর্বোচ্চ ২৫০০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠাটি নিবন্ধন ফির নামে অতিরিক্ত ১৫০ টাকা আদায় করছিল।

টিআই/জেডএস