‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে’
বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে দেশের অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বই আজ কোভিডে বিপর্যস্ত। কীভাবে চিকিৎসা দেওয়া যাবে, কীভাবে সংক্রমণ রোধ করা যাবে, এটা নিয়েই বিশ্বকে বারবার তাদের গাইডলাইন পরিবর্তন করতে হয়েছে। অথচ আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ অনেকেই এখনো স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো মানছেন না। এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে আমাদের দেশের অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে।’
বিজ্ঞাপন
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সিডিসি কর্তৃক প্রণীত বিভিন্ন গাইডলাইন মোড়ক উন্মোচন’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত মাস্কই হচ্ছে করোনা প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। সেই সঙ্গে আমাদের সবাইকে নিয়ম মতো হাত ধুতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।’
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমাদের অভিজ্ঞার আলোকে কোভিড-১৯ চিকিৎসার গাইডলাইন অনেক আগে থেকেই তৈরি হচ্ছিল। একইসঙ্গে পরিবর্তন হচ্ছিল চিকিৎসা ও সেবার ধারা। নতুন নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আসার ফলে গাইডলাইনও বারবার পরিবর্তিত হচ্ছিল। প্রায় ৯/১০ বার এ গাইডলাইন আমাদের পরিবর্তন করতে হয়েছে। কীভাবে চিকিৎসা দেওয়া এবং কীভাবে সংক্রমণ রোধ করা যাবে, এটা নিয়েই সারাবিশ্বকে বারবার তাদের গাইডলাইন পরিবর্তন করতে হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও আমাদের বহুবার বিভিন্ন রকম গাইডলাইন দিয়েছে। সবমিলিয়ে সবার গাইডলাইন অনুসরণ করেই আমাদের গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনার প্রথম দিকে এর প্রতিকার সম্পর্কে কেউ জানতো না, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিকিৎসা পদ্ধতি অনেকবার পরিবর্তন করেছে। তখন বলা হলো ভেন্টিলেটর অনেক লাগবে, সেভাবে লাগেনি। সেন্ট্রাল অক্সিজেন, হাই ফ্লো ক্যানোলা প্রয়োজন ছিল, ল্যাবের প্রয়োজন ছিল। ল্যাব একটি থেকে ১১৮টি ল্যাব হয়েছে, এখন ১৭ হাজার পর্যন্ত টেস্ট হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে ইউরোপ আমেরিকা দেখেন, পাশের দেশ ভারতে দেখেন। উন্নত দেশে প্রতি ১০ লাখে হাজারের মতো মারা গেছে। আমাদের এখানে ৪৫-৪৮ এর মতো। আমাদের অর্থনীতি গ্রোথ রেট ধরে রেখেছে, অনেক দেশ মাইনাসে চলে গেছে। একটি মানুষও না খেয়ে মরেনি। কোনো উন্নয়ন থেমে নেই। শুধু শিক্ষা পুরোপুরি করতে পারিনি, এখন অনলাইনে নেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শীতকালে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বেড়ে যায় সে কারণে করোনা বেড়ে যেতে পারে। সরকারি-বেসরকারিভাবে মিলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে পারবো। আগে বেড বেশি ছিল না, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ছিল না, এখন হয়েছে, ওষুধের অভাব নেই, ডাক্তার নার্সরা এখন অনেক বেশি ট্রেন্ড। টেলিমেডিসিন বাড়ানোর কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছাড়াও অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ও অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
টিআই/এসএম