‘১০ ফেব্রুয়ারির আগে স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মস্থল ত্যাগ নয়’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চিকিৎসক-নার্সসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং মেডিকেল কলেজের পরিচালকদের সঙ্গে অনলাইন সভা শেষে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চিকিৎসক-নার্সসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে যে কেউ ছুটি নিতে পারবেন।
ডা. খুরশীদ আলম বলেন, সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার টিকা কর্মসূচি বন্ধ থাকবে। এছাড়া বাকি দিনগুলোতে টিকা কার্যক্রম চলবে।
বিজ্ঞাপন
মহাপরিচালক বলেন, মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রস্তুত আছে। এখন পর্যন্ত বিশ হাজারের বেশি মানুষ টিকা পেতে নিবন্ধন করেছেন। যারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না তাদের সহায়তা করবেন, মাঠ স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, হাঙ্গেরি বা অন্য দেশকে টিকা দেওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ সময় অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, ঢাকা জেলার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে চার লাখ টিকা।
আরেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, নাসিমা সুলতানা জানান, তিনিসহ টিকা নেওয়া সবাই সুস্থ্য আছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, টিকা গ্রহীতাদের নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনায় আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সুরক্ষা অ্যাপ প্লে-স্টোরে পাওয়া যাবে।
করোনার ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহীদের অবশ্যই ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রেজিস্ট্রেশন শেষ করতে হবে বলে রোববার জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস।
প্রথম দিনেই (২৭ জানুয়ারি) ২৭ জনের দেহে প্রয়োগ করা হয় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এ টিকা। ওইদিন দেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বেক্সিমকোর আনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা নিয়েছেন সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তা। তিনি কুর্মিটোলা হাসপাতালের ডায়ালাইসিস ইউনিটের ইনচার্জ।
টিকা নেওয়া পরের চার জন হলেন- ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন, স্বাস্থ্যের অতিরিক্ত ডিজি নাসিমা সুলতানা, পুলিশ সদস্য দিদারুল ইসলাম এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে মন্ত্রী, আমলা, চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীসহ ৫ শতাধিক ব্যক্তি টিকা নিয়েছেন।
জানা গেছে, রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে দ্বিতীয় দিনে মোট ৫৪১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২০ জনকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮ জনকে, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১০০ জনকে, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৫৮ জনকে এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬৫ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
টিআই/এসএম