করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগের পর গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না গেলেও এক থেকে দুই শতাংশ টিকা গ্রহীতার মধ্যে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দেখা গেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং মেডিকেল কলেজের পরিচালকদের সঙ্গে অনলাইন সভা শেষে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে টিকা নেওয়া ৫ জনের মধ্যে আমিও একজন। আমি শারিরীক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ আছি।

নাসিমা সুলতানা বলেন, আমি প্রথমদিনেই বলেছি এবং শুরু থেকেই বলে আসছি, টিকা দিলে স্বাভাবিক যে প্রতিক্রিয়া যেমন- জায়গাটা ফুলে যায়, লাল হয়, সামান্য জ্বর হয়। এটা আসলে খুব স্বাভাবিক পার্শপ্রতিক্রিয়া। এমনটা টিকা নেওয়ার পর কয়েকজনের হয়েছে। তারা আমাদের ফোন করেছে যে জ্বর এসেছে এবং একদিন পরই আবার জ্বর নেমে গেছে এ তথ্যও আমরা পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, তারা জানিয়েছে, যে দিন টিকা দেওয়া হয়েছে, সেদিন জ্বর এসে পরেরদিন ছিল, তারপরদিনই আবার সুস্থ হয়ে গেছে। এছাড়াও আরও কয়েকজন আমাদের জানিয়েছে যে তাদের একবার বমি হয়েছে, অল্প অল্প মাথা ঘুরেছে। এর সবগুলোই আসলে খুবই সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

স্বাস্থ্যের অতিরিক্ত ডিজি আরও বলেন, টিকা তো দেওয়া হয়েছে ৫৬৭ জনকে, তার মধ্যে ১/২ শতাংশ লোকের এরকম সমস্যা হয়েছে। এটা তো এতো বড় কিছু নয়, সবাই এখন সুস্থ রয়েছে।

১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মস্থল ত্যাগ নয়
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চিকিৎসক-নার্সসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চিকিৎসক-নার্সসহ সবল স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে যে কেউ ছুটি নিতে পারবেন।

তিনি বলেন, সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার টিকা কর্মসূচি বন্ধ থাকবে। এছাড়া বাকি দিনগুলোতে টিকা কার্যক্রম চলবে। ইতোমধ্যে ৬৩ জেলায় টিকা পৌঁছে গেছে। গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ এ আজকের মধ্যে টিকা পৌঁছে যাবে বলেও জানান তিনি।

মহাপরিচালক বলেন, মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রস্তুত আছে। এখন পর্যন্ত বিশ হাজারের বেশি মানুষ টিকা পেতে নিবন্ধন করেছেন। যারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না তাদের সহায়তা করবেন, মাঠ স্বাস্থ্যকর্মীরা।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, হাঙ্গেরি বা অন্য দেশকে টিকা দেওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এ সময় অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, ঢাকা জেলার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে চার লাখ টিকা।

টিআই/এসএম