কিয়েভ দখলের ব্যাপারে যা বলছেন ইউক্রেনের গোয়েন্দারা
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক অ্যান্তন হেরাসচেঙ্কো বলেছেন, উত্তর-পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ট্যাঙ্ক বহর নিয়ে রাজধানী কিয়েভ দখলের জন্য অগ্রসর হচ্ছে রুশ সৈন্যরা।
কিয়েভ নিয়ে রাশিয়ার পরিকল্পনার কথা ইউক্রেনের প্রাভদা ওয়েবসাইটকে জানিয়েছে একটি গোয়েন্দা সূত্র। যদিও এটি আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য নয়। তবে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে সম্পর্কে সেখানে যা বলা হয়েছে:
বিজ্ঞাপন
• কিয়েভের প্রধান একটি বিমানবন্দর দখলের পর বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ শুরু করা। এর মাধ্যমে রাশিয়ার ১০ হাজার সৈন্য কিয়েভে অবতরণ করবে। সেই সময় সীমান্তে হামলা অব্যাহত রেখে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে ব্যস্ত রাখবে।
• কিয়েভের বৈদ্যুতিক এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় নাশকতা করে আতঙ্কজন পরিবেশ সৃষ্টি করা।
বিজ্ঞাপন
• লোকজনকে আতঙ্কিত করে অন্য দেশে আশ্রয় নিতে ঠেলে দিয়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি।
• কেবিনেট, পার্লামেন্ট ভবনসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবন দখল করা। সেই সঙ্গে ইউক্রেনের ক্ষমতাসীন নেতাদের আটক করে রাশিয়ার শর্তে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা।
• রুশপন্থী নেতাদের ক্ষমতায় এনে সাবেক পূর্ব এবং পশ্চিম জার্মানির মতো ইউক্রেনকে দু’ভাবে বিভক্ত করা।
তবে এসব তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
দুই মাসের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনের সীমান্তে দেড় লাখের বেশি সৈন্য সমাবেশ রেখে দেশটির ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি করে রাশিয়া; ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদান ঠেকাতে রাশিয়ার এই চাপ গত সোমবার চূড়ান্ত রূপ পায়। ওইদিন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের দু’টি অঞ্চল দনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়ে পরের দিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করতে সৈন্যদের নির্দেশ দেন।
এরপর ইউক্রেনের তিন দিক থেকে হাজার হাজার সৈন্য ইউক্রেনে প্রবেশ করে সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা এবং অবস্থান লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ, গোলাবারুদ নিক্ষেপ করে। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রথম দিনেই ঐতিহাসিক চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দখল করে নেয় রাশিয়া। এখন দেশটির রাজধানী কিয়েভে ঢুকে পড়েছে রুশ সৈন্য, সেখানে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের সঙ্গে তাদের তুমুল লড়াই চলছে।
বিবিসি বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিওতে দেখা যায়, কিয়েভের উত্তরের একেবারে কাছের জেলা ওবোলোনের সড়কে রুশ ট্যাংক চলাচল করছে। রুশ সৈন্যদের কিয়েভে টহলের ভিডিও স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের বাড়ি থেকে ধারণ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবিসিও ভিডিওগুলো ওবোলোনে ধারণ করা বলে নিশ্চিত হয়েছে।
এসএস