কিয়েভ দখলের লক্ষ্যে ফের সংগঠিত হচ্ছে রুশ বাহিনী
ম্যাক্সারের ইমেজ, ছবি: রয়টার্স
ইউক্রেনের ছোট-বড় বিভিন্ন শহরে হামলা ও কয়েকটি শহরে দখল কায়েমের চেষ্টার মধ্যেই দেশটির রাজধানী ও প্রধান শহর কিয়েভ দখলের লক্ষ্যে পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে রুশ বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্যাটেলাইট কোম্পানি ম্যাক্সারের প্রকাশ করা ছবির বরাত দিয়ে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ম্যাক্সারের প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, কিয়েভের উত্তরপশ্চিাঞ্চলীয় প্রবেশ পথ থেকে বেশ কিছু দূরে এতদিন পর্যন্ত খুবই ধীর গতিতে চলা রুশ সেনাবহরটি সম্প্রতি গতিশীল হয়েছে এবং সাঁজোয়া যানের ইউনিটগুলো কিয়েভের নিকটবর্তী আন্তোনভ বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকায় ঢুকে পড়েছে। ওইসব এলাকায় রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী তুমুল যুদ্ধ চলছে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ অভিযান শুরুর পর থেকেই।
বিজ্ঞাপন
গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সম্পর্কে রয়টার্সকে বলেন, ‘রাশিয়া সম্ভবত সামনের দিনগুলোতে হামলার নতুন পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। এজন্যই সামরিক বাহিনীকে পুনরায় সংগঠিত করা হচ্ছে। রাশিয়ার এই নতুন পরিকল্পনায় কিয়েভ অভিযানও আছে।’
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, রসদ স্বল্পতা ও ইউক্রেনের প্রতিরোধের কারণে কিয়েভমুখী রুশ সৈন্যবহর এখনও ধীর গতিতেই এগোচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
অবশ্য রুশ বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে সংগঠিত হচ্ছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইউক্রেন-বেলারুশের সীমান্তবর্তী জেলা পলিস্কিতে রুশ বাহিনীকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ফেলেছে ইউক্রেনের বাহিনী।
এদিকে টানা সপ্তম দিনের মতো রাশিয়া অবরুদ্ধ বন্দরনগরী মারিওপোল থেকে বেসামরিকদের বের হওয়ার সুযোগ দিতে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেছে। শহরটি থেকে সাধারণ মানুষকে বাইরে সরিয়ে নিতে আরেকবার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে ইউক্রেইনও।
‘আমরা আশা করছি, এই অস্ত্রবিরতি কাজ করবে আজ,’ বলেছেন ইউক্রেইনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক।
এর আগে মারিওপোল থেকে বেসামরিক সরাতে যত উদ্যোগই নেওয়া হয়েছে সবই ব্যর্থ হয়েছে; এজন্য দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে।
শহরটি ছাড়তে না পারা বেসামরিকরা এখন রুশ গোলাবর্ষণ ছাড়াও খাবার ও পানির তীব্র সংকটেও ভুগছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
ওয়াশিংটন বলছে, রাশিয়া মারিওপোলে বেসামরিকদের লক্ষ্য করে যে হামলা চালাচ্ছে তা যুদ্ধাপরাধ। তবে মস্কো এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলছে, তার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বেসামরিকদের লক্ষ্য করে পরিচালিত হচ্ছে না।
এসএমডব্লিউ