১৩ বছর আগে একদিন পাড়ার বাচ্চাদের সঙ্গে খেলছিল সে। তখনই হঠাৎ খেলতে খেলতে পড়ে যায়। তারপর থেকেই ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা আর ভোগান্তি। এমনিতেই সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত সে। মাত্র আট মাস বয়স থেকে তার মাথা ছিল ৯০ ডিগ্রি কোণে ঘোরানো। ফলে পড়ে যাওয়ায় লাগে ভয়ানক আঘাত, মাথা বেঁকে যায় একদিকে। এই যন্ত্রণা নিয়েই তাকে কাটাতে হয়েছে এতদিন।

কিন্তু আশার আলো দেখা গেল। এই রোগের চিকিৎসার কথা বললেন ভারতীয় চিকিৎসকরা। দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালে হলো চিকিৎসার ব্যবস্থা। এ জন্য প্রয়োজন ছিল ২৬ হাজার ইউরো। সেই বিপুল অর্থ সংগ্রহ করে অপারেশন করা হলো দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালে। ‘গো ফান্ড মি’ নামে একটি ক্রাউড ফান্ডিং সংস্থার সাহায্যে টাকা জোগাড় করে হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হলো পাকিস্তানি মেয়ে আফশিনের।

যদিও চিকিৎসকরা প্রথমে বলেছিলেন, এই অস্ত্রোপচার খুবই মারাত্মক। এর ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বাঁচার আশা রয়েছে ৫০ শতাংশ। তবুও শেষ পর্যন্ত চিকিৎসার পথেই হাঁটে পরিবার। 

ভারতের চিকিৎসক রাজা গোপাল কৃষ্ণ জানিয়েছেন, আফশিনের ভাই একটি তথ্যচিত্রে দেখেছিলেন এমনই একটি শিশুর অস্ত্রোপচার হয়েছে। সেটা দেখেই আমার কাছে এসেছিলেন তিনি। আমার দেখে মনে হয়েছিল, এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে যা করতে হবে দ্রুত করতে হবে। ফেলে রাখলে নিরাময়ের সম্ভাবনা কমবে। তারপরেই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এইচকে